নির্বাচনের নামে ইমিটেশন নির্বাচন জনগণ প্রত্যখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। যা হচ্ছে তা হচ্ছে অবৈধ নির্বাচন, তামাশার নির্বাচন, ইমিটেশন নির্বাচন। নির্বাচনের নামে এরা জনগণকে ভেলকিবাজি দেখাচ্ছে। এরা জনগণকে ত্যাজ্য করে প্রকৃত ভোটকে বৃদ্ধাঙ্গলি দিয়েছে। দেশের মানুষ এমন প্রতারণার নির্বাচন চায় না। নির্বাচনের নামে কোনো প্রহসন চায় না। নির্বাচনের নামে ইমিটেশন নির্বাচন জনগণ প্রত্যখ্যান করেছে।
এ সময় ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে বর্জন করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী।
গতকার শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ধানমন্ডি পুরাতন ১৫ নম্বর এলাকায় আনাম র?্যাংগস প্লাজা শপিংমলের বিপরীতে কাঁচা বাজার ও আশপাশে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো: রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েলসহ নেতারা। এ সময় রিজভী আরো বলেন, অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন ভবনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘বৈঠকে উনি (মানবাধিকার চেয়ারম্যান) মন্তব্য করেছেন যে, আমাদের গণমাধ্যমের আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে, সার্বিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখা প্রয়োজন । আমরা উনার সাথে সহমত পোষণ করি।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে আমরা ঘুরে বেড়িয়েছি। প্রার্থীদের সাথে কথা বলেছি। প্রশাসনের সাথে সভা করেছি। তাদের কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ আমরা পাইনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতা, কিছুকিছু ক্ষেত্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, পোস্টার ছেড়া হয়েছে। কিন্তু মোটা দাগে খুব বেশি ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হয় না। তবে সহিংসতা একেবারে হয়নি, সে কথা বলছি না।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আশা করি এটা গ্রাজুয়েলি ঠিক হয়ে যাবে, আর কয়েকটা দিন আছে। আমরা আমাদের আবেদন রাখছি, প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তারা যেন এটাকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। একটা সময় এ প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। তারপর ভোটের দিন আসবে।’ সিইসি বলেন, ‘আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগটায় জোর দিচ্ছি। সেখানে পোলিং এজেন্টরা থাকবেন, কেন্দ্রের ভিতরে পোলিং এজেন্টদের ভারসাম্যটা রক্ষা করতে হবে। সেখানে কোনো আনঅথরাইজ পারসন যেন প্রবেশ করতে না পারে এবং বাহির থেকে, ভেতর থেকে গণমাধ্যম যদি কোনো অনিয়মের ছবি ক্যাপচার করে এবং এটা যদি সম্প্রচার করতে পারে, আমরা সেটাকে স্বাগত জানাব। এভাবে একটা দৃশ্যমানতার মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাটা যদি ফুটে উঠে, তাহলে এর ক্রেডিবিলিটি বেড়ে যাবে এবং রং পারসেপশন তৈরি হওয়ার সুযোগটা কম হবে বলে আমি আশাবাদী।’
তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচনকালীন মানবাধিকারের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলোকে হাইলাইট করে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন এবং জানেন যে ভোটাধিকার, নির্বাচিত হওয়া এবং নির্বাচিত করা একটি ফান্ডামেন্টাল হিউম্যান রাইট, মৌলিক মানবাধিকার। উনি আমাদেরকে সহযোগিতা করতে চান। আমরাও উনাদের সহযোগিতা করতে চাই এবং করবো।