প্রতিনিধিত্বশীল দলগুলোকে বাদ রেখে সরকার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ ও মন্ত্রিসভা গঠন করেছে তার বৈধতা জনগণ দিবে না বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে ‘গণপ্রত্যাখ্যাত ডামি নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে’ মিছিলপূর্ব সমাবেশ এ মন্তব্য করেন তিনি। মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে পল্টনে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, গত ৭ই জানুয়ারি দেশে একটি তামাশার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সব কিছুতেই জাতির সঙ্গে তামাশা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে প্রকৃত ভোটারের গড় উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল। পিঠা-ভাগাভাগির এই নির্বাচনে সরকারি দল নিজেদের মধ্যেও ভাগাভাগি সুষ্ঠুভাবে করতে পারেনি। যার কারণে স্বতন্ত্র বা ডামি প্রার্থীরা হাইকোর্টে পর্যন্ত রিট করেছেন এবং নির্বাচন বয়কট করেছে।
তিনি বলেন, জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ভুল করে নাই। ৭ই জানুয়ারি সরকার নয়, জনগণের বিজয় হয়েছে। বিজয়ী জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। প্রতিনিধিত্বশীল দলগুলোকে বাদ রেখে সরকার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ ও মন্ত্রিসভা গঠন করেছে তার বৈধতা জনগণ দিবে না।
জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। অবিলম্বে পদত্যাগ করে দল নিরপেক্ষ সরকারের কাছে দ্বায়িত্ব হস্তান্তর করুন। সকলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। জাতিকে আর বিশ্ববাসীর কাছে খাটো করবেন না। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে দেশকে আর ঠেলে দিবেন না।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করে খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেন, এই নির্বাচন কোনো ভালো নির্বাচন হয়নি। জনগণ এই নির্বাচন মানে না, জনগণ এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ২৬ জনের যে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়েছে, জনগণ তা মানে না। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারকে জনগণ পাঁচ বছর কেন, পাঁচ দিনও দেখতে চায় না। সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের মাঠে থাকতে হবে। জনগণের নির্বাচন প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো উপস্থিত যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।