বিপিএলের নবাগত দল দুর্দান্ত ঢাকার কাছে পাত্তাই পেলো না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএলের দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চার বারের চ্যাম্পিয়নদের ৪ উইকেটে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছে ঢাকা। এদিনে শুরুতে কুমিল্লাকে ১৪৩ রানে থামিয়ে দেয় তারা। জবাবে খেলতে নেমে ৩ বল আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মোসাদ্দেক হোসেনের দল। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাধারণ গ্যালারির পুরোটাই ভরা ছিল। নিজেদের মাঠে কুমিল্লার সমর্থকদের কাছে কোণঠাসা ছিল ঢাকার সমর্থকরা। গ্যালারিতে কোণঠাসা থাকলেও মাঠের লড়াইয়ে আধিপত্য দেখিয়েছে ঢাকার ক্রিকেটারা।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় লিটন দাসের কুমিল্লা। কিন্তু দলীয় ২৩ রানে ওপেনার অধিনায়ক বিদায় নেন। দ্বিতীয় উইকেটে তাওহীদ হৃদয় ও ইমরুল কায়েস মিলে ১০৭ রানের জুটি গড়েন। যদিও দুইজনের মন্থর ব্যাটিংয়ের খেসারত দিতে হয়েছে দলকে। ৪১ বলে ৪৭ রান করে তাসকিনের শিকার হন তাওহীদ। ১৯তম ওভারের শেষ বলে তাসকিন এবার ফেরান ইমরুলকে। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন কুমিল্লার সাবেক অধিনায়ক। শেষ ওভারে শরিফুলের আগুনে বোলিংয়ের সামনে খেই হারালে কুমিল্লার ইনিংস থামে ১৪৩ রানে। ঢাকার পেসার করেন বিপিএলের সপ্তম হ্যাটট্রিক। শরিফুলের সর্বোচ্চ তিন উইকেট ছাড়াও তাসকিন দুটি এবং চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা একটি উইকেট নিয়েছেন। ১৪৪ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে ঢাকা। দানুশকা গুনাথিলাকা ও নাঈম শেখ মিলে ১০১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের সুবাস এনে দেন। কিন্তু তানভীর ও মোস্তাফিজের দারুন স্পেলে হুট করেই পিছিয়ে পড়ে ঢাকা। নাঈম ৪০ বলে ৫২ রানে আউটের পর তানভীর ৪২ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন।
লাসিথ (৫), সাইফ হাসানকে (৭) হারানোর পর চাপে পড়ে যায় ঢাকা। হুট করেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টাই প্রায় সফল হয়ে যাচ্ছিল কুমিল্লা। যদিও শেষ পর্যন্ত পারেনি চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে চাতুরাঙ্গার ছক্কায় উদ্বোধনী ম্যাচে জয় দিয়ে মাঠ ছাড়লো ঢাকা। ইরফান শুক্কুর ১৬ বলে ২৪ রান করে দলের জয়ে অবদান রাখেন। কুমিল্লার মোস্তাফিজ ও তানভীর দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন শরিফুল।