বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, সরকার জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে এক স্বৈরতান্ত্রিক ও মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাই দেশের হারানো গণতন্ত্র ও ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং জনগণের সামগ্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে সকল ঐক্যবদ্ধ জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি জুলুমবাজ সরকারের পতনের লক্ষ্যে সকলকে রাজপথে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার উপর গুরাত্বরোপ করেন।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পশ্চিম থানায় এক দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মোঃ মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষিদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন থানা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, ওয়ার্ড সভাপতি-সেক্রেটারীগণ।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা দেশে সুশাসন উপহার দিতে পারেনি। সরকারের উপর্যুপরি ব্যর্থতার কারণেই মূল্যস্ফীতি এখন সকল সময়ের সীমা অতিক্রম করেছে। ভেঙে পড়েছে জাতীয় অর্থনীতি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকার জনগণের সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং তারা যা করছে তার সাথে জনগণের স্বার্থের কোন সংশ্লিষ্টরা নেই। আওয়ামী বাকশালীরা এখন ‘ডামী’ ও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা জবর দখল করে জনগণকে অর্ধচন্দ্র দেওয়ার উল্লাসে মেতে উঠেছে। তারা এখন ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার দিবাস্বপ্নে বিভোর। তাই সরকারের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও দায়িত্বশীলদের আত্মগঠনে মনোনিবেশ করতে হবে।
দলমত নির্বিশেষে দ্বীনের দাওয়াত প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।২০২৪ সালে বার্ষিক পরিকল্পনার আলোকে সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুত করণে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি তামাশা ও ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিতে সরকারকে বাধ্য করতে সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় স্বৈরাচারিরা জাতির ঘাড়ে আবারো জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা চরিতার্থ করার জন্যই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে খেলতামাশার অনুসঙ্গ বানানো হয়েছে। তারা দেশকে ব্যর্থ ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জনগণের ওপর নির্মম জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত বাস্তবায়ন করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্যই তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতির নির্লজ্জ মহড়া প্রদর্শন করেছে। তিনি অবিলম্বে প্রহসনের নির্বাচনের সংসদ ভেঙে দিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আবহান জানান। অন্যথায় এজন্য সরকারকে চড়ামূল্য দিতে হবে।