ঢাকার কেরানীগঞ্জে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাংবাদিক মোস্তফা কামালসহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিযোগের বাদী প্রেসক্লাবের অফিস সহকারী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন(১৫)। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কদমতলী গোল চত্বর এলাকায় ঢাকা জেলা প্রেক্লাবে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আমি। সংসারের দরিদ্রতায় লেখাপড়া চালিয়ে যেতে না পাড়ায় সাংবাদিক হাজী মোস্তফা কামাল স্যারের মাধ্যমে প্রেসক্লাবে পার্ট টাইম একটা কাজ পাই। উক্ত বেতনের টাকায় এখন আমি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারছি। সেই কৃতজ্ঞতায় মোস্তফা স্যারকে আরো সম্মান করি। হঠাৎ একদিন মোস্তফা স্যারকে মারার জন্য রায়হান স্যার কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে আটটি স্ট্যাম্প নিয়ে আসেন। বিষয়টি আমার বিবেকের তাড়নায় মোস্তফা স্যারের শ্যালক সাংবাদিক কায়েসকে জানিয়ে দেই। উক্ত স্ট্যাম্পের একটি ছবি কায়েসকে দিয়ে দেই। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে, রায়হান স্যার, ইউসুফ স্যার, টিটু স্যার,আশিক স্যার, ইমন, ছোট লিটনসহ আরো অনেকেই আমাকে বলে ক্লাবের আলমারিতে দুই লক্ষ টাকা ছিল। সেই টাকা চুরির দায়ে তারা আমাকে ছয় বছর জেল দিবে এবং আমাকে আরো ভয়-ভীতি ও হুমকি দেন। তারা আরো বলে তাদের কথামতো আমি যদি কাজ না করি, থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আমাকে ধরিয়ে দেবে। মোস্তফা স্যার ও কায়েস ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানটে কথা বলতে হবে। তাদের কথামত আমি ভয়ে তাই করতে বাধ্য হই। আমাকে থানায় নিয়ে তাদের কথামত মিথ্যা অভিযোগ দিতে বাধ্য করে। আমি বিবেকের তাড়নায় সংবাদ সম্মেলনে সঠিক তথ্যটি আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। সাংবাদিক মোস্তফা কামাল স্যার একজন স্কুল প্রধান শিক্ষক ও সৎ লোক। তার ও কায়েসের বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। আমি আপনাদের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই। যারা আমাকে দিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাজ্জাদ হোসেনের বাবা মোহাম্মদ রুবেল শেখ।