মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন

সেন্টমার্টিনে বিসিএস ক্যাডার পর্যটক নিখোঁজ ৫ দিন পর কক্সবাজার হোটেল থেকে উদ্ধার

মনির আহমদ কক্সবাজার :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
মাহমুদা আক্তার হ্যাপী -ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজার-টেকনাফের সেন্টমার্টিনে মাহমুদা আক্তার হ্যাপী নামক এক বিসিএস ক্যাডার পর্যটক নিখোঁজের ৫ দিন পর শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রবিবার ৭০ জন পর্যটকের দল থেকে নিখোঁজ হন তিনি। মোবাইল ট্রেকিংএর সহযোগীতায় ৫ দিন পর এই নারী বিসিএস ক্যাডারকে কক্সবাজার বীচ পয়েন্টের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে ওই পর্যটককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হ্যাপী পুলিশকে জানান, সেন্ট মার্টিন সমুদ্রে গোসল করতে নেমে তিনি ভেসে যান। পরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় ট্রলারের মাঝিমাল্লারা তাঁকে উদ্ধার করেন। সেখান থেকে কক্সবাজার শহরে ফেরেন তিনি। শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিকে তাকে উদ্ধার করার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গণি আরো জানান, সেন্টমার্টিন ভ্রমন করতে গিয়ে গত রবিবার (৪ ফেব্রুয?ারি) থেকে তার সন্ধান মিলছে না মর্মে তার সাথে বেড়াতে আসা সঙ্গিরা পুলিশকে অবিহিত করার পাশাপাশি টেকনাফ থানায় একটি লিখিত ডায়েরি করেছিলেন। এরপর কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ও উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের সার্বিক নির্দেশনা মোতাবেক থানায় কর্মরত এসআই সু-দর্শনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকষ দল তাকে উদ্ধার করার জন্য অভিযানিক কার্যক্রম শুরু করে। সেই সূত্র ধরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ নারী বিসিএস ক্যাডারের মোবাইল লোকেশান কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয?েন্ট এলাকায় ট্রেকিংয়ে পাওযা যায। অবশেষে অভিযানিক দলের দীর্ঘ ৫ দিনের সাঁড়াশী প্রচেষ্টার সফলতা হিসাবে শুক্রবার ভোর রাত ৩টার দিকে কক্সবাজার সু-গন্ধা বীচ পয়েন্ট সংলগ্ন এ আর গেস্ট হাউস নামে একটি হোটেলের রুম থেকে তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ওসি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া নিখোঁজ নারী বিসিএস ক্যাডার হ্যাপীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে সে তার ব্যাক্তিগত সমস্যা এবং বিসিএস রেজাল্টর ফলাফল মনের মত না হওয়ায় হতাশ হয়ে নিজের জীবনটাকে আড়ালে রাখার জন্য এই পথ বেঁচে নিয়েছে। সে এখন পুলিশের অভিযানিক দলের হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম শেষ করার পর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে। এবিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আদনান চৌধুরী জানান, উক্ত ঘটনার বিষয?টি জানার পর টেকনাফ থানা পুলিশ সদস্যরা নিখোঁজ নারীকে উদ্ধার করার জন্য অভিযানিক কার্যক্রম শুরু করে। পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ট্রেকিংকরে ৫ দিন পর এই নারী বিসিএস ক্যাডারকে কক্সবাজার বীচ পয়েন্ট এলাকার একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য:-নিখোঁজ নারীসহ ২ ফেব্রুয?ারি ঢাকা থেকে ৭১ জনের একটি টিম প্রবালদ্বীপ খ্যত সেন্টমার্টিনে ভ্রমনে যায় তারা দ্বীপে অবস্থানরত হোটেল সি ভিউসহ বেশ কয?েকটি রিসোর্টে উঠেন। এরপর (রবিবার) সকালে তিনি বন্ধুর সাথে দেখা করার কথা বলে রিসোর্ট থেকে বের হয়ে যায়। বিকেল পর্যন্ত তিনি হোটেলে ফিরে না আসায তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। এরপর তিনি মুঠফোনে বন্ধুর সাথে আছি বলে উত্তর দেন। কিন্তু এক ঘণ্টা পর তার মুঠফোনটি বন্ধ পাওয?া যায?। ঐ দিন তার সহপাটিরা পুলিশকে অবিহিত করেছিলেন ৩ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে মাহমুদা আক্তার হ্যাপীসহ তিন বান্ধবী একসাথে সেন্টমার্টিনের একটি হোটেলের কক্ষে ছিলেন। সেদিন রাতে হ্যাপী সবার আগে ঘুমিয়ে পড়লেও অন্য দুই বান্ধবীর ঘুমাতে দেরি হয়। আর ওই দুই বান্ধবী সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে রুমে হ্যাপী নেই। তার কাপড় চোপড় ও ব্যাগ গোছানো। পরে সাড়ে ৯টার দিকে এক বান্ধবীর ফোনে হ্যাপীর নাম্বার থেকে একটি ম্যাসেজ আসে, আমি গোসল করে রুমে ফিরব। এরপর থেকেই হ্যাপীর আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com