‘টক কুল’ চাষে সফলতা পেয়েছেন জেলা সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাতিয়ানতলা গ্রামের মেম্বার তৌহিদুল ইসলাম।
এই স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জমিতে উৎপাদিত কুল যাচ্ছে খুলনা ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। এক বিঘা কুল চাষে খরচ করেছেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর বিঘা প্রতি কুল পেয়েছেন দেড় লাখ টাকার বেশি। এতে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। বর্তমানে তিনি চার বিঘা জমিতে কুলের চাষ করেছেন। জনগণের খেদমত আর কুল গাছ পরিচর্যা করে এখন সময় কাটে এই জনপ্রতিনিধির।
ছাতিয়ানতলা গ্রামের তরফদার পাড়ার মৃত আজহার আলীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম। তিনি এলাকার নির্বাচিত মেম্বার হিসেবে জনগণের খেদমত করার পাশাপাশি তিনি কুল চাষের পরিকল্পনা নেন। প্রথমবার তিনি এক বিঘা জমিতে টক কুল চাষ শুরু করেন। তখন থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কারণে চার বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছেন।
তৌহিদুল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে কুলের চারা, সেচ, সার, কীটনাশক ও পরিচর্যাসহ মোট খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বাম্পার ফলন হওয়ার কারণে বিঘা প্রতি দেড় লাখ টাকার কুল বিক্রি করার আশা করছেন। এখন প্রায় দিন কুল তোলা হচ্ছে। যশোর, খুলনা, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা জমি থেকে কুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তার সাফল্য দেখে এলাকার অনেকে কুল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। অনেক কৃষি উদ্যোক্তা জমি ও চাষ দেখতে আসছেন। তিনি হাসিমুখে তাদের কুল চাষের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী জানান, উচ্চ ফলনশীল সেকেন্ড টক কুল চাষে খরচ কম লাভ বেশি। এই কুল চাষ করে মেম্বার তৌহিদুল ইসলাম আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তাকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে।