সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন

আশুলিয়ায় ’ভুল চিকিৎসায়’ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

সাভারের আশুলিয়ায় ভুল চিকিৎসায় মিজানুর রহমান (৩৬) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার জামগড়া ছয়তলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দি-ল্যাব এইড হাসপাতালে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত মিজানুর রহমান আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া বাসায় থেকে হোটেল ব্যবসা করতেন। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার বাসিন্দা। মৃতের পরিবার জানায়, পিত্তথলিতে পাথর অপসারণে অস্ত্রোপচারের জন্য রবিবার দুপুরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাকিফ রহমান তার অস্ত্রোপচার করেন। তবে এর পর থেকেই বমি শুরু হয় তার। সকালের দিকে ব্যথা বৃদ্ধি পাওয়ায় নার্স ডাকলে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয় তাকে। এরপরও ব্যথা না কমায় আরও দুইটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপরই তার মুখ ও নাকে ফেনা বের হয়ে সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তখন নার্সরা এসে দ্রুত তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে অন্য হাসপাতালে নিতে বলে। তখন আশুলিয়ার নবীনগর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান তিনি আগেই মারা গেছেন। মৃতের ছোট ভাই রিপন হোসেন বলেন, পিত্তথলির অপারেশন করার জন্য তাকে দি-ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে অপারেশন করার পর সারারাত বমি করছে। এজন্য নার্স ডাকা হয়েছে। নার্স প্রথম ইনজেকশন দেওয়ার পর তার চেহারা সবুজ হয়ে গেছে। আরো ব্যথা বাড়ছে। এরপর আরো একজন আসছে। তিনি ডাক্তার ও না, নার্সও না। কিছুই না। ওই ব্যক্তি আরও দুইটা ইনজেকশন দিছে। ওই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে নাক দিয়া মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে সে মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে যারা মহিলা নার্স ছিল। তারা লাশ তাড়াতাড়ি বের করে দিয়ে বলে, অন্য মেডিকেলে নিয়ে যান। অন্য মেডিকেলে নিয়ে গেছি তো তারা বলছে এ তো মৃত। এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিফ রহমানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হাসপাতালে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন নম্বরে কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। দি-ল্যাব এইড হাসপাতালের পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, আমার এখানে কালকে এক রোগী অপারেশন হয়েছে। আজকের সকালে রোগীটা খারাপ হইছে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছিল। তবে চিকিৎসায় ভুলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য: এর আগে, ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল এই হাসপাতালে জরায়ুর অপারেশন করান ৪৫ বছর বয়সী রহিমা আক্তার। তবে চিকিৎসক তার মুত্রথলি কেটে অন্যত্র লাগিয়ে দেন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। সেখানে গিয়ে স্বজনরা ভুল চিকিৎসার বিষয়টি জানতে পারেন। ৩৫ দিন রোগেভুগে মারা যান সেই রোগী। কিছুদিন পরপর এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েও হাসপাতালটি চালু থাকায় হতাশ এলাকাবাসী। এমনকি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বন্ধ করে দেয়ার দাবিও জানান তারা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com