রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
খেলাধুলার মাধ্যমে মাদককে সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে-মাফরুজা সুলতানা মাইলস্টোন কলেজে নবম শ্রেণির বালিকাদের অংশগ্রহণে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ  ‘বিবেচনায় রয়েছে’: বদিউল আলম ১৬ বছর বঞ্চিতদের এবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বইমেলয় স্টল বরাদ্দের দাবি ইসির অগাধ ক্ষমতা থাকলেও প্রয়োগে সমস্যা ছিল: বদিউল আলম আমাদের শিক্ষা কর্মসংস্থান খোঁজার মানুষ তৈরি করছে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা সেন্টমার্টিন: ‘স্থানীয়দের জীবিকা বনাম পরিবেশ রক্ষা’ আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগবে: মির্জা ফখরুল

হোসেনপুরে জ্বালানী সংকট ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে কদর বেড়েছে গোবরের ঘুঁটের

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জ্বালানী সংকট ও ক্রমাগত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গ্রামীণ গৃহবধূদের রান্না-বান্নার কাজে ব্যবহৃত জ্বালানী সাশ্রয়ী গোবরের ঘুঁটের কদর বেড়েছে বহুগুণ। মূলতঃ আদিকাল থেকেই এখানকার স্থানীয়দের কাছে এটি গোবরের গৈটা, মুইঠ্যা বা গোবরের আঁটি হিসেবে বেশি সুপরিচিত। সূত্রমতে, এক সময় গ্রামীণ দরিদ্র গৃহবধূরা বন-জঙ্গলের লতা-পাতা কুড়িয়ে তা রান্নার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় নানা কারণে বাড়ির পাশের বন-জঙ্গল উজাড় হওয়ার কারনে তীব্র জ্বালানী সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে ধনী ও অপেক্ষাকৃত বড় গৃহস্থ পরিবারের গৃহবধূরা কাঠের লাকড়ি বা সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে রান্না-বান্নার কাজ সম্পন্ন করতে পারলেও চরম বিপাকে পড়েছেন গরীব ও নিম্ন আয়ের গৃহবধূরা। অনেকেই গ্যাস বা গাছের কাঠ-খড়ি ক্রয় করতে না পেরে গৃহপালিত গরুর গোবর দিয়ে লাকড়ি তৈরি করে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করছেন। হাতে তৈরি করা ওইসব গোবরের লাকড়ি বা ঘুঁটে দিয়েই চলে তাদের সারা বছরের রান্নার কাজ। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, গ্রামীণ দরিদ্র গৃহবধূরা গরুর গোবর দিয়ে লাকড়ি তৈরি করছেন।কেউ কেউ বাড়ির উঠানে কিংবা রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় বসে ঘোমটা টেনে পরম যতনে তৈরি করছেন এসব গোবরের ঘুঁটে। এসব গোবরের ঘুঁটে তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে গবাদিপশুর গোবর, বালতি ভর্তি পানি, পাটখড়ি ও ধানের তুষ বা কুড়া। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামীণ গৃহবধূ জানান,তারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গোয়াল ঘরে প্রবেশ করে বালতি ভর্তি গোবর বের করেন। পরে গোবরের সাথে মিশ্রিত করেন পরিমাণ মতো ধানের তুষ বা কুড়া এবং পানি। এরপর ২-৩ ফুট লম্বা পাটকাঠিতে গোবর আটকিয়ে তৈরি করেন লাকড়ি বা গোবরের ঘুঁটে। তারা আরো জানান, গোবরের তৈরি এসব কাঁচা লাকড়িগুলো শুকানোর জন্য বাড়ির উঠানে আড় বেঁধে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এভাবে কয়েকদিন রাখার পরই শুকিয়ে যায় লাকড়িগুলো। অতঃপর গোবরের তৈরি ওই শুকনো লাকড়িগুলো তারা সারা বছরের জন্যই মজুদ করে রাখেন ঘরের কোণে। উপজেলার নারায়ন ডহর গ্রামের গৃহবধূ শর্মীলা শীল, জরিনা আক্তার জানান, তারা সারা বছরই গোবর দিয়ে লাকড়ি তৈরি করে থাকেন। কেননা গোবরের তৈরি লাকড়িগুলো অনেক ভালা জ্বলে এবং মাটির চুলাতেও রান্না করতে অনেক ভালো লাগে। তাই গোবরের লাকড়ি বা ঘুঁটেই তাদের একমাত্র ভরসা।এতে বাড়তি খরচও অনেক কম হয়। ফলে এখন উপজেলার সর্বত্রই গোবরের ঘুঁটের চাহিদা ও কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এসএম শাহজাহান কবির জানান, গোবর দিয়ে তৈরি ঘুঁটে বা লাকড়ি এক প্রকার জ্বালানি। যা তৈরি করা খুবই সহজ ও সাশ্রয়ী। তাই গ্রামীণ দরিদ্র নারীরা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে গোবরের ঘুঁটে ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। তাছাড়া অব্যাহত জ্বালানি সংকট ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এখন মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধুরাও গোবরের তৈরি ঘুঁটের দিকেই ঝুঁকছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com