জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ ইরানের ঐতিহ্যবাহী ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ক্রিস্টাল সিমোর্গ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার লাভ করেছেন। ‘ফাতিমা’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ আউটস্ট্যান্ডিং আর্টিস্টিক কন্ট্রিবিউশন ক্যাটাগরিতে তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। ফারিণ নিজেরই এ সংবাদ তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন। তবে পুরস্কার প্রদানের সময় ফারিণ উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষে এ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন সিনেমার পরিচালক ধ্রুব হাসান। এ কথা বর্ণনা করে ফারিণ লেখেন, ‘আমার ফিল্ম ফাতিমার জন্য ইস্টার্ন ভিস্তা বিভাগে আমাকে ক্রিস্টাল সিমোর্গ পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করার জন্য ৪২তম ফজর চলচ্চিত্র উৎসবকে ধন্যবাদ। ইচ্ছে ছিল আরও একদিন থেকে নিজের হাতে পুরস্কার গ্রহণের, কিন্তু থাকতে পারলাম না।’
ফারিণ আরও লেখেন, ‘তবে আমার পক্ষ থেকে পুরস্কারটি নিয়েছেন পরিচালক ধ্রুব হাসান ভাইয়া। এর চেয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত আর হয় না। আমার কাজকে ভালোবাসার জন্য জুরিকে ধন্যবাদ এবং তেহরানে আমি যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এটি সত্যিই একটি স্বপ্নের মুহূর্ত ছিল।’ ৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে উৎসবের ইস্টার্ন ভিস্তা বিভাগে প্রদর্শিত হয় ফারিণের সিনেমাটি। এ বিভাগে প্রতিযোগিতা করেছে এশিয়ান-ইসলামিক দেশের সিনেমাগুলো।
এবারের ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ‘সিচুয়েশন অব মাহদি’। এটি নির্মাণ করেছেন হাদি হেজাজি ফার। এছাড়া ‘নাইট গার্ড’সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতার পুরস্কার পেয়েছেন রেজা মীর কারিমি। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন তান্নাজ তাবাতাবায়ি। ‘উইদাউট হার’ চলচ্চিত্রের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন আমিন হাইয়ায়ি। ‘লাস্ট স্নো’ সিনেমার জন্য তিনি এ পুরস্কার লাভ করেছেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে ফাতিমা নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন ফারিণ। ধ্রুব হাসান নির্মিত এ সিনেমার গল্পটি আবর্তিত হয়েছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন নারীর চ্যালেঞ্জকে ঘিরে। ফারিণ ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, পান্থ কানাই, ইয়াশ রোহান, তারিক আনাম খান, শতাব্দী ওয়াদুদ, এবিএম সুমন, শাহেদ আলী, আয়েশা মনিকাসহ আরও অনেকে।