বিপিএলে লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া। ফাল্গুনের আগমনে যেন রঙিন হয়ে উঠেছে আসর। একের পর তারকা ক্রিকেটার ভিড়িয়ে ফ্র্যা াইজিগুলো যেন মেতেছে প্রতিযোগিতায়। এদিকে জমে উঠেছে প্লে অফের লড়াইও। সব মিলিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়াতে যাচ্ছে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচগুলো।
লিগ পর্বে আর বাকি মাত্র ছয়টা ম্যাচ। অথচ এখন পর্যন্ত কেবল রংপুর রাইডার্স নিশ্চিত করেছে প্লে অফ। যদিও নিশ্চিত হয়নি কোয়ালিফায়ার। বাকি তিনটা স্থান নিয়ে লড়াই চলছে চারটা দলের মাঝে। বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে কুমিল্লা, বরিশাল, চট্টগ্রাম আর খুলনা যেকোনো একদলের।
বিশেষ করে একপ্রকার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে আর একটি ম্যাচ হারলেই চলতি বিপিএল থেকে বাদ পড়তে হবে খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। আর এমন সমীকরণের ম্যাচে দুই দল মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে একে অপরের বিপক্ষে।
তবে বরিশাল তাদের শেষ দুই ম্যাচের কোনো একটা হারলে খানিকটা সম্ভাবনা থাকতে পারে চট্টগ্রাম অথবা খুলনার। এমনটা যে ঘটতে পারে তা ভাবাও অমূলক নয়, ফরচুন বরিশালকে তাদের শেষ দু’টি ম্যাচ খেলতে হবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল রংপুর ও কুমিল্লার বিপক্ষে। যারা নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচে হারেনি একটিতেও!
তবে হারতে নারাজ বরিশাল। সেই লক্ষ্যেই একের পর এক তারকা ক্রিকেটার দলে ভিড়িয়েছে তারা। তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের মতো দেশীয়দের সাথে শেহজাদ, কেশভ মহারাজ, কাইল মায়ার্সরা তো আগেই ছিলেন দলে। এবার যোগ দিচ্ছেন ইংলিশ ব্যাটার টম ব্যান্টন ও প্রোটিয়া হিটার ডেভিড মিলার।
তবে ছেড়ে কথা বলছে না রংপুর আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও। জিমি নিশাম, প্রিটোরিয়াসরা তো আগেই ছিলেন রংপুরে, এরপর নতুন করে যোগ দিচ্ছেন নিকোলাস পুরান, মাহিশা পাথিরানা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আর ছুটি কাটিয়ে ফিরছেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নাবি ও ইমরান তাহির।
কুমিল্লা দল হয়ে উঠেছে পরিপূর্ণ। প্রতি আসরের মতো এবারেও তাদের দলে খেলতে এসেছেন দুই ক্যারিবীয় সুনিল নারিন ও আন্দ্রে রাসেল। মঈন আলি, ম্যাথু ফোর্ড আর জনসন চার্লস আগে থেকেই আছেন ভিক্টোরিয়ান্স শিবিরে। যদিও মাথায় চোট পেয়ে হাসপাতালে থাকা মোস্তাফিজকে খুব করে মিস করবে তারা।
বিপিএলে এখনো অনেক হিসেব নিকেশ আর সমীকরণ বাকি। যেকোনো সময়ে ঘটে যেতে পারে অঘটন। তবে সব মিলিয়ে সমর্থকদের জন্য আসরটি হয়ে উঠেছে বেশ উপভোগ্য।