পুলিশি বাধায় ভণ্ডুল হয়েছে ১২ দলীয় জোটের ডাকা বিক্ষোভ মিছিল। আজ প্রেসক্লাবের সামনে জোটটির ডাকা বিক্ষোভ মিছিলের পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য দাড়ালে বাধা দেয় পুলিশ। ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে # INDIA OUT, Boycott India, বয়কট ইন্ডিয়া এমন ফেস্টুনে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল জোটটি।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিলের পূর্ব প্রস্তুতি জন্য সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ব্যানার কেড়ে নেয়। পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নেতারা। এরপর নেতারা সেখান থেকে চলে এসে ঝটিকা মিছিল করে। মিছিলটি প্রেসক্লাবের অপর পাশের সড়ক দিয়ে পল্টনমুখী হয়ে মেহের প্লাজায় এসে শেষ হয়।
১২ দলীয় জোটের নেতাদের পুলিশের কর্মকর্তা জানান, ‘আপনারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কর্মসূচি করতে পারেন। এখানে আমাদের তরফ থেকে কোনো বাধা নেই। কিন্তু কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কর্মসূচি করতে দিতে পারি না।’ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা ও লাঠিচার্জ করেছে এমন অভিযোগ করে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘একটি বাকশাল রাষ্ট্র কায়েম করেছে সরকার। কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন বাধা দিয়েছে সরকার। সরকারের পুলিশ বাহিনী আমাদের বিক্ষোভের ফেস্টুন কেড়ে নিয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ছবি তুলতে গেলে তাদের ফোন কেড়ে নেয়।
এমনকি বাধার মুখে চলে আসার সময় পেছনের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জাগপার সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আজকে আমরা বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়েছে, হুমকি দিয়েছে। আজকে মানুষের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না।’ বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন- লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান,
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এলডিপির মো: ফরিদ উদ্দিন, আব্দুল হাই নোমান, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ। কর্মসূচির শুরুতে ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন উপস্থিত ছিলেন।