জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ফসলি জমি বেদখলের অভিযোগ উঠেছে। জমি দখল, ভয়ভীতি এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলে মেলান্দহ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী বাগবাড়ী এলাকার মো. মতিউর রহমানের ছোট ছেলে মো. হীরা মিয়া। অভিযোগকারী মো. হীরা মিয়া জানান- মেলান্দহ উপজেলার মৌজা-পাঠানপাড়া, বিআরএস খতিয়ান নং-২০২, বিআরএস- ১১২২, ১১২৩, ১১২৬ নং দাগের ২ একর ৮৯ শতাংশ জমি আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তি এবং আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখল করে আসছি। দীর্ঘদিন যাবত আমাদের আবাদকৃত ফসলি জমিটি ওবায়দুর রহমান গংরা দখল করার জন্য পায়তারা করিয়া আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে জোরপূর্বক দখল করে মাটি খননসহ চাষাবাদ করে দখল করে। আমরা বাধা দিলে আমাদের উপর আক্রমনের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এসে তাদের হাত থেকে আমাদের প্রানে রক্ষা করে। আমরা অসহায়, তারা প্রভাবশালী বলে অন্যায়ভাবে আমাদের জমিটি দখল করেছে এবং আমাদের নানা ধরণের হুমকি প্রদান করছে। আমরা যেন আমাদের আবাদি জমিটি ফিরে পাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি আরো বলেন-জমি দখলসহ তাদের নানা রকম ভয়ভীতি এবং প্রাণনাশের হুমকির বিচার চেয়ে ন্যায় বিচারের আশায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ছবিলাপুরের মৃত তৈয়ব আলী আকন্দের ছেলে ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান(৬০), ওবায়দুর রহমানের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম বাবলু(৪১) ও মো. রিয়াজুল ইসলাম রাজু(৩৫), বাগবাড়ী এলাকার মৃত জবেদ আলী মন্ডলের ছেলে মো. আ. হাকিম ওরফে আ. হালিম শান্তি(৫৬), মো. আ. হাকিম ওরফে আ. হালিম শান্তির ছেলে মো. আল আমিন(২৫)কে আসামী করে মেলান্দহ থানায় আমি একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১ একরের অধিক জমির ৪ ভাগের ৩ ভাগে কাউন চাষ করা হয়েছে। মাটি খনন করে ১ ভাগ জমির স্তর পরিবর্তন করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ওবায়দুর রহমান গংরা জমিটি জোরপূর্বক দখল করে কাউন চাষ এবং মাটি বিক্রি করেছে। জানতে চাইলে ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বলেন- হ আমি দখল করছি। আমার জমি আমি দখল করছি। আমার মায়ের অংশ আমি নিছি। ওরা বলে আমার নানা তাদের লিখে দিছে অথচ তারা জমির দলিলই দেখাতে পারে না। অভিযোগ দিছে ২.৮৯ শতাংশ জমি দখল করছি অথচ আমার মায়ের অংশ ১ একরের মত জমিতে আমি চাষাবাদ করছি। ওরাতো প্রায় ৯ একরের মত জায়গা খাচ্ছে, ওইখানে কি আমার মায়ের অংশ নাই, আমি তো কিছুই বলছি না। এব্যাপারে আমার আর কিছুই বলার নাই। আপনারা যা পারেন লেখেন গা, আমার যেখানে কাগজপত্র দেখানোর দরকার সেখানেই দেখাবো। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেলান্দহ থানা এসআই মো. রফিকুল ইসলাম বলেন ঘটনার স্থল আমি পরিদর্শন করেছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ গ্রহণ করা হবে।