সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশী গার্মেন্টসের রফতানি বাড়ায় ভারতীয়দের আপত্তি নকলায় বিএনপির ৪ নেতানেত্রীকে বহিষ্কার পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য ১২ দিনে পানিতে ডুবে ১২ শিশুর মৃত্যু অর্থবছরের ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের অভিযোগ বরিশালে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আপনাদের সহায়তায় সুস্থ জীবন চাই শ্রীমঙ্গলে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত নূরে মদিনা মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ফুলপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবের মিছিল

গণতন্ত্র মে র মিছিলে ‘লাঠিপেটা’

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

পুলিশের দাবি সরিয়ে দিয়েছে 
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ‘ব্যাংক লোপাট’ ও অর্থপাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মে র বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলেও গণতন্ত্র মে র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। গতকাল বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
গণতন্ত্র মে র অন্যতম নেতা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের কাছে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। এতে গণতন্ত্র মে র সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মে র নেতাকর্মীরা এদিন দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। পরে মিছিল নিয়ে পল্টন ঘুরে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন তারা। জিরো পয়েন্ট পার হয়ে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে তারা পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পড়েন। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের এডিসি শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ওনাদের কর্মসূচি ছিল। এখানে এসে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে কেপিআই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে আমরা তাদের সরিয়ে দেই।
এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান শাহ আলম। তবে ঠিক কতজন আটক হয়েছেন বা তাদের নাম-পরিচয় কী সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার দেশের ভবিষ্যৎ বিদেশে নষ্ট করছে। জনগণকে ঠিক করতে হবে এ সরকার থাকবে কী থাকবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদায় করে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যত রকম চুরি আছে সব করছে। আমদানিনির্ভর জ্বালানি থেকে বের হবে না। চুরি করতে হবে। রাজপথে নামুন।
সাইফুল হক বলেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে অনিয়মের দায় জনগণ কেন নেবে? জনগণ ভোট বর্জন করায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। সরকারের দাম যত কমছে জিনিসপত্রের দাম তত বাড়ছে। সিন্ডিকেট সরকার একাকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আমলারা কথা শোনে না। ‘যা খুশি তাই করো’ এমন লাইসেন্স দেওয়া হয়ছে। পাচারের টাকা বিদেশে জুয়ার টেবিলে উড়ছে। সরকারকে বিদায় দেওয়া ছাড়া সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব নয়। আন্দোলন কর্মসূচি চলবে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে ব্যাংকে টাকা নেই, ডলারও নেই। অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে। সিন্ডিকেট বন্ধ করতে পরেনি। চাল-পেঁয়াজের দাম কত? লোন পেতে হাত-পা ধরতে শুরু করেছে। রিজার্ভে টাকা নেই। অপতথ্য সরকার থেকে বেশি দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলো ডুবতে শুরু করেছে। রোজায় দাম কমাতে পারবে না সরকার। ৭ জানুয়ারি ভোটের নামে খেলা হলো। ভারতীয় পণ্য বর্জন করলে পুলিশ কিছুই করতে পারবে না। আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাবো। গণতন্ত্র ম লড়াই করে যাবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com