সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

কালীগঞ্জে প্রাথমিকের ১৪৭ শিক্ষার্থীর দুধপান

হুমায়ুন কবির (কালীগঞ্জ) ঝিনাইদহ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪

প্রথম শ্রেণীর ক্ষুদে শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জোহরা পড়ালেখা করে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৪২নং এস টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।স্কুল ড্রেস পরে গলায় পরিচয় পত্র এবং পিঠে ব্যাগ নিয়ে প্রতিদিন সময়মত আনন্দের সাথে স্কুলে আসে এই শিক্ষার্থী। স্কুলে এসে সে ও তার সহপাঠীরা শ্রেণিকক্ষে বসে প্রতিদিন প্যাকেটজাত ইউএইচটি ২০০ মিলিগ্রাম দুধ পান করে। প্রতিদিন দুধ পানের ফলে একদিকে তাদের যেমন পুষ্টি চাহিদা মিটচ্ছে তেমনি স্কুলে আসার প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। প্রাণিসম্পদ ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় মেধাবী ও স্বাস্থ্যসম্মত জাতি গঠনের উদ্দেশ্যে স্কুল মিল্ক কর্মসূচি দেশব্যাপী গ্রহণ করা হয়। এই কর্মসূচির আওতায় ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে ঝিনাইদহ সদর, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হয়। এর মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা ৪২ নং এস টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ শে জুন ২০২৩ তারিখ হতে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের দুধ পান শুরু হয়। দুই বছর মেয়াদি এই কর্মসূচির আওতায় ২০০ মিলিগ্রাম ফার্ম ফ্রেশ কোম্পানির ইউ এইচটি পূর্ণ ননীযুক্ত দুধ বিদ্যালয় খোলার দিনগুলোতে বিদ্যালয়টির মোট ১৪৭ জন শিক্ষার্থীদের খাওয়ানো হয়। সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে যেয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের গলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত “স্কুল মিল্ক কর্মসূচির “ পরিচয়পত্র ঝোলানো রয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিজ-নিজ শ্রেণী কক্ষে বসে থাকা অবস্থায় শিক্ষক প্রথমে দুধের প্যাকেট গুলো প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে পরিবেশন করে পরবর্তীতে ওই প্যাকেটের মুখ সামান্য কাচি দিয়ে কেটে দিচ্ছেন। এরপর সকলে একসাথে দুধ পান করছেন। দুধ পান শেষে প্যাকেটটি নির্দিষ্ট বালতিতে ফেলছেন। বিদ্যালয়টি দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা জানায়, স্কুলে এসে দুধ খেতে তার ভালো লাগে। আমরা সবাই আনন্দ করে একসাথে দুধ খাই। এস টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের স্কুল হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা তাদের ছেলে মেয়েকে নিয়মিত দুধ কিনে খাওয়াতে পারেন না। কিন্তু সরকারের এ মহতী উদ্যোগের ফলে আমার বিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রত্যেক শিশুরই পুষ্টি চাহিদা মিটছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: রেজাউল ইসলাম বলেন, দুধ একটি আদর্শ খাবার। এর মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। শিশুর মেধা বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ল্যাকটোজ একমাত্র দুধেই পাওয়া যায়। সেই বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার শিশুদের জন্য দুধ পান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির আওতায় এস টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা মিটাবে বলে আমি মনে করি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com