শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

কুমিল্লার মুরাদনগরে সুন্দরী কুল বরই চাষ করে ইউনুস লাভবান

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪

জীবিকার তাগিদে প্রবাসে থেকে কঠোর পরিশ্রম করেও ভাগ্য বদলাতে পারেনি, অবশেষে দেশে ফিরে বরই চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সক্ষম হয়েছে ইউনুস ভূঁইয়া। ইউনুস কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের মোসলেম ভূঁয়ার ছেলে।
বাণিজ্যিকভাবে বরই চাষ শুরু করে বেশ সফলতা পেয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা ইউনুস ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি ৭০ বিঘা জমিতে এ বল সুন্দরী কুল নামের বরই চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল জায়গা জুড়ে লাগানো গাছগুলোতে ফলে ভরপুর হয়ে উঠেছে। এক একটি গাছ ৫ থেকে ৬ হাত লম্বা। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দুলছে লাল সোনালি রঙের বরই গাছ গুলো। শীতের মিষ্টি রোদ পড়ে রঙিন বরই গুলো চকচক করছে। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে অনেক গাছের ডাল। বরই উপরের অংশে হালকা সিঁদুর রং রয়েছে। ফলটি আকারে বড়, দেখতে ঠিক আপেলের মতো। খেতেও খুব সুস্বাদু। বাজারে এ বরইয়ের চাহিদা ও দাম অনেক ভালো। ফলে চাষের সকল খরচ বাদ দিয়ে বেশ লাভবান কৃষি উদ্যোক্তা ইউনুস ভূইয়া। বরই চাষ করে ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন। দূর দূরান্ত থেকে অনেক বেকার লোকজন এসে দেখছেন এবং এ বিষয়ে নানা পরামর্শ তার কাছ থেকে নিচ্ছেন।
মো. ইউনুস ভূঁইয়া বাসসকে জানান, জীবিকার তাগীদে দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। সেখানে কৃষি খামারের তত্ত্বাবধান করেছেন। কয়েক বছর আগে দেশে আসেন। নিজের এবং অন্যের জমি লিজ নিয়ে ৭০ বিঘা জমিতে মাছের খামার করেন। এলাকাটা উঁচু হওয়ায় পানি কমে যায়। তেমন লাভও পাচ্ছিলেন না। পরে স্থানীয় কৃষি অফিসের সাথে কথা বলে বরই চাষ শুরু করেন। চারা আনলেন নাটোর থেকে। আট মাসে বরই ফল আসা শুরু করে। ২০২১ সালে অল্প কয়েকদিনে তিনি কয়েক লক্ষাধিক টাকার বরই বিক্রি করেছেন। চলতি বছর আরো বেশি ফল পেয়েছেন। তিনি জানান, জমি পত্তনসহ তার প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো পূঁজি লেগেছে। আশা করছেন চলতি বছর তার পূঁজি উঠে আসবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাইন উদ্দিন আহমেদ বাসসকে বলেন, ইউনুস ভূঁইয়াাকে শুরু থেকে উপজেলা কৃষি অফিস হতে আমরা বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। জৈব সার ব্যবহার করে যেন ফল ও সবজি উৎপাদন করতে পারে সেজন্য তাকে কেঁচো কম্পোস্ট প্রদর্শনী দিয়েছি। তিনি আরো জানান, কৃষি অফিসের উদ্যোগ মুরাদনগর উপজেলায় ১০০ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি করি। এর অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা ইউনুস ভূঁইয়া। শুধু এ উপজেলায় নয় পুরো কুমিল্লার মধ্যে তার বরই বাগান সবচেয়ে বড়। ৭০ বিঘা জমিতে চারো পাশে ক্যানেল তৈরি করে এ ফল বাগানটি গড়ে তুলেছেন।
১৩‘সরকার না পারছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে, না পারছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে-খেলাফত মজলিস

দ্রব্যমূল্যের ক্রম ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি-সহ মাহে রমজানকে সামনে রেখে সক্রিয় হওয়া সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস। গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতারা বলেন, ‘প্রতি বছর রমজান কাছাকাছি এলে এদেশে সিন্ডিকেট চক্র যেভাবে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠে তাতে মনে হয় দেশে প্রশাসন বলতে কিছুই নেই। দলীয় পরিচয়ে বেড়ে উঠা এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা সর্বদা সরকারি আনুকূল্য পেয়ে এমন বেপরোয়া হয়ে উঠে। একদিকে, এই চক্র মানুষকে জিম্মি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে, ভ্যাট/ট্যাক্স বাড়িয়ে সরকার তা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে নিয়ে গেছে। খেজুরের মতো ইফতারের নিত্য অনুষঙ্গ ও পুষ্টিকর ফলের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কারণে এর দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। শিল্পমন্ত্রী নুরুল মাজিদ হুমায়ুন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে খেজুরের বিকল্প হিসেবে বড়ই খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা মূলত খেটে খাওয়া রোজাদার মানুষদের সাথে উপহাসের শামিল।’ নেতারা আরো বলেন, ‘এই মাস থেকে বিদ্যুতের মূল্য খুচরা পর্যায়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে যা জনজীবনকে আরো দুর্বিসহ করে তুলবে। সরকার না পারছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে, না পারছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে। কোনো অগ্নিকা-ের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার জাতি এখনো দেখতে পায় নাই। ক্ষতিগ্রস্তরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এখনো পায় নাই। অবিলম্বে মাহে রমজানের আগেই দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। রমজানের পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন অপতৎপরতা সরকারকে অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।’ এ সময় দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে নায়েবে আমির অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব-বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, হাজী নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com