রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

শেরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

জাহিদুল খান সৌরভ শেরপুর :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪

শেরপুরের নকলায় সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা কর্তৃক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল মুনসুর আহমেদ এর গায়ে হাত তোলাসহ অশোভন আচরণ করায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ মার্চ) সকালে মানবন্ধনের যৌথ আয়োজন করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,  মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, সার বীজ ডিলাম সমিতি, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদ, উপজেলা শ্রমিক ফেডারেশনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্ধ। এর সাথে একত্বতা ঘোষণা করেন নকলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকেরাও। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল মুনসুর আহমেদ এর সভাপতিত্বে এই মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, জেলা পরিষদের সদস্য সানোয়ার হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান সুজা, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সোহেল, সার বীজ ডিলার সমিতির সভাপতি জয়েন উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎ, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো: খোরশেদ করিম শ্যামল প্রমুখ। মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার গায়ে হাত দেওয়া মানে সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ে হাত দেওয়া। সাংবাদিক রানার যদি উপযুক্ত বিচার না হয় তাহলে আমরা রাজপথে নেমে কঠিন আন্দোলনের ডাক দিব। নকলা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দেশরুপান্তর পত্রিকার নকলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সরকারি অফিসে অনুপ্রবেশ করে হট্টগোল, সরকারি কাজে অন্যায়ভাবে বাধাদান করা, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল তছনছ করে ফাইল ছিড়াসহ বিভিন্ন ফাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও অসদাচরণ করে এবং এক নারী কর্মচারীকে উত্তক্তসহ অশালীন ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এর আগে ব্যক্তিগত কাজে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল মুনসুর আহমেদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। ওই সময় ঘটনাক্রমে রানাকে উত্তেজিত দেখে থামতে বলেন এবং সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু রানা মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনসুর আহমেদের গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা দেয়। পরে জেলা পরিষদের সদস্য মো. সানোয়ার হোসেন রানাতে শান্ত হতে বললে তাকেও অপমানজনক কথাবার্তা বলে। এ ঘটনায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com