সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া গ্রামের মানিক চানের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের আহাজারিতে বেলকুচির বাতাস ভারী হয়ে পড়েছে। কন্যা হারা এই মায়ের আহাজারি ও কান্নায় অত্র এলাকা স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীরা বলছে, কি হবে এই অসহায় পরিবারের। মেয়েটির ভাগ্যেই বা কি আছে । কন্যাহারা এই মায়ের আর্তনাদ থানা পুলিশ ও মাতব্বরদের মন গলাতে পারেনি। বিচারের আশায় ও মেয়েকে ফিরে পাবার আশায় অবশেষে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইন ২০১২ এর ৭/৮ ধারায় সিরাজগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন অসহায় এই মা। মানব পাচার মামলা নং ০২/২০২৪ । মামলার আর্জিতে জানা গেছে, বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাতী পশ্চিমপাড়া গ্রামের কতিপয় পাচারকারী গরিব এই বাঁদিনীকে ফুসলিয়ে তার ১৩ বছরের নাবালিকা কন্যা মারুফা খাতুন কে ঢাকায় ভালো বেতনে এক পুলিশ সুপারের বাসায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও মেয়ের সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে না পারায় বাদিনীর সন্দেহ হয়। বাঁদিনী বারবার আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মেয়ের কোন সন্ধান পায়নি। হঠাৎ করে বাঁদিনীর মোবাইল নম্বরে ভারত থেকে মারুফা ফোন করে। সেই ফোন কল থেকে জানতে পারে মারুফাকে ভারতের দালালদের নিকট বিক্রি করে দেয়া হয়েছে এবং সে বর্তমানে ভারতেই আছে। এরপর শুরু হয় বাদিনীর দৌড়ঝাপ। মেয়েকে ফিরে পেতে এলাকার মাদবার ও থানা পুলিশের শরণাপন্ন হন তিনি। তার কান্নায় কারো মন গলেনি পরে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মুকুন্দুগাতি পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুসলিম খার ছেলে আব্দুল বাতেন, রুহুল আমিনের স্ত্রী মায়া খাতুন, রুহুল আমিনের পুত্র মুরসালিন, মুরসালিনের স্ত্রী মদিনা, আব্দুল গফুরের পুত্র মোহাম্মদ আলী ,জহুরুল ও নয়ন এবং মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী হাসি খাতুন কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশের একটি সূত্র (গোপনে) নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে ঘটনার সত্যতার কথা স্বীকার করেছেন। ফাতেমা খাতুন তার কন্যা মারুফা কে ফিরে পেতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্দ্বাতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।