গরমকাল চলে এসেছে। এখন দুপুরে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্টকর হয়ে উঠেছে তীব্র রোদের কারণে। তার উপর আবার চলছে রমজান মাস। এই গরমে দীর্ঘক্ষণ পানি পান না করায় ও তীব্র গরমে যখন তখন যে কারও হতে পারে হিট স্ট্রোক। একদিকে প্রচ- রোদ ও গরম তার উপরে রোদে ঘোরাঘুরি করে কাজের চাপ, সব মিলিয়ে এসময় হিট স্ট্রোকের সম্মুখীন হতে পারেন অনেকেই। জেনে নিন হিট স্ট্রোক হওয়ার লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়-
হিট স্ট্রোকের লক্ষণসমূহ: ১. ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া হিট স্ট্রোকের একটি অন্যতম লক্ষণ। ২. হিট স্ট্রোকের আগে ত্বক শুষ্ক আর লালচে হয়ে ওঠে। ৩. রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যায় হিট স্ট্রোকের আগে। ৪. এসময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই প্রস্রাবের পরিমাণও কমে যায়। ৫. হিট স্ট্রোকের সময় নাড়ির স্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়। ৬. মাথা ঝিমঝিম ও শরীরে খিঁচুনি হতে পারে। ৭. হিট স্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। ৮. শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায়। ৯. এসময় তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়: ১. গরমে সব সময় হালকা রঙের ও ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন। যাতে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। ২. হিট স্ট্রোক হলে দ্রুত রোগীকে ঠা-া পরিবেশে আনতে হবে। সম্ভব হলে এসি লাগানো ঘরে রাখুন। ৩. যে কোনো উপায়ে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা কমাতে হবে। ৪. হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর বারবার পানি ভেজানো কাপড় দিয়ে মুছে দিন। প্রয়োজনে ভেজা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখতে হবে। ৫. ঘরের ফ্যান বা এসি চালিয়ে রাখুন। ৬. যারা দিনে বেশিরভাগ সময় বাইরে খোলা আকাশের নীচে কাটান বা রোদে ঘোরাঘুরি করেন তারা গরমে সচেতন থাকুন। ছোট ছোট বিরতি নিয়ে কাজ করুন।
৭. প্রথমিক পর্যায়ে হিট স্ট্রোকের মোকাবেলা করার পর দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।
সূত্র: জিনিউজ