রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

লামা বনে অবৈধ গাছটানা পোষা হাতি আটক চকরিয়া সাফারী পার্কে হস্তান্তর

মনির আহমদ কক্সবাজার
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪

লামা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি পোষা হাতি আটক করেছে বন বিভাগ। এ সময় আটক করেছে হাতির মাহুতকেও।। জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ৬০০ ঘনফুট কাঠ। শনিবার (২৩ মার্চ) উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি লেমুপালং এলাকার পালং খাল ও শীল ঝিরির মোহনা থেকে এসব কাঠ জব্দের পাশাপাশি মাহুত সহ হাতি আটক করে। একই দিন রাত সাড়ে ৮টায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে চকরিয়া ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে হাতিটি হস্তান্তর করেছে লামা বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ। আটক হাতিটি সিলেট জেলার মোমিন কোম্পানীর বলে জানান বন কর্মকর্তারা। বিভিন্ন সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সরই ও গজালিয়া এদুই ইউনিয়নের মাঝামাঝি লেলুপালং এলাকার পাহাড়ে শ্রমিক লাগিয়ে বড় বড় আকারের গাছ কেটে হাতি দিয়ে পরিবহনের করে অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছিলেন লোহাগড়া উপজেলার মোরশেদ আলম চৌধুরী ও তার ম্যানেজার মো. রফিক গং। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক বেলালের নির্দেশনায় লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহি ও ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় সদস্যরা শনিবার সকাল থেকে দুপুরে পর্যন্ত লেমুপালং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় অবৈধভাবে কাঠ পরিবহন কাজে ব্যবহৃত মাহুত সহ একটি হাতি আটক করতে সক্ষম হন। ঘটনাস্থল থেকে গর্জন, শিউলী, লালীসহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠও জব্দ করেন বন কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহি বলেন, অবৈধভাবে হাতি দিয়ে গাছ পরিবহরের খবর পেয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা বন বিভাগের দুইটি টিম লেমুপালং মৌজায় অভিযান চালিয়ে মাহুত সহ হাতি ও কাঠ জব্দ করেছি। ওই এলাকায় কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত আর কোন পোষা হাতির সন্ধান পাওয়া যায়নি। আটক হাতি দিনগত রাতেই কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর করেছি। আটক হাতির মাহুতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। অভিযানে কাঠ জব্দ সহ মাহুত ও হাতি আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল জানান, অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত পোষা হাতির মালিকের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর অধীনে ও কাঠ পাচার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফরেস্ট ট্রানজিট রুল্স ১৯৭৩ এর অধীনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অবৈধভাবে কাঠ পাচার রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com