বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ সময়ে বিদেশে যেতে পারবেন না তিনি। গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাইদ মোল্লার স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে উপরোক্ত বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- খালেদা জিয়ার দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ল। গত ২০ মার্চ সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, বিদেশ না যাওয়া ও বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার দুই শর্তে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী কারাদ- স্থগিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার কারাদ- স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়ায় সরকার।
ঢাকার একটি বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদ-ে দ-িত হওয়ার পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। হাইকোর্ট এই মামলায় পরের বছর ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর তার আপিল খারিজ করে দেয়ার পর তার শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেন। এর আগে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার আরেকটি বিশেষ আদালত খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে। তখন তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দেয়া হয়।