শ্রোতাপ্রিয় নজরুলসংগীত শিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী প্রথমবারের মতো ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে গান গেয়েছেন। এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্মিত ‘ইত্যাদি’র ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে’ গানটিতে তিনি অংশ নিয়েছেন। এরই মধ্যে গানটির রেকর্ডিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ঈদের এ গানটিতে তিনি ছাড়াও দেশের খ্যাতিমান নজরুলসংগীত শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি এ প্রজন্মের নজরুলসংগীতশিল্পীরাও ঈদের এ গানটি অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গানটির দৃশ্য ধারণ হয়েছে রাজধানীর মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে। ‘ইত্যাদি’তে প্রথমবার অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ইয়াসমিন মুশতারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। খ্যাতিমান তারকারা এতে অংশ নিয়ে থাকেন। আমারও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু হয়ে ওঠেনি। এবার এর নির্মাতা হানিফ সংকেতের আমন্ত্রণে ঈদের বিশেষ গানে অংশ নিলাম। আমাকে এতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য হানিফ সংকেতকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
ইয়াসমিন মুশতারী আরও বলেন, ‘এবার তার (হানিফ সংকেত) অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখলাম-তিনি প্রত্যেককে ভীষণ সম্মান ও শ্রদ্ধা করেন। এর আগে শুনেছি তিনি ভীষণ মেধাবী মানুষ। এবার তার অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখলাম আসলেই তিনি অসম্ভব ট্যালেন্ট মানুষ। তার কাজে আমি ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি।’ নজরুলসংগীত শিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী। শৈশব থেকে সংগীত পরিম-লে বেড়ে উঠেছেন। তার বাবা কবি তালিম হোসেন ছিলেন নজরুল গবেষক ও নজরুল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা। মা বেগম মাফরুহা চৌধুরী ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক। বড় বোন শবনম মুশতারী আর মেঝো বোন পারভীন মুশতারীও নজরুলসংগীতের খ্যাতিমান শিল্পী। শৈশবে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন আয়োজিত আন্তজেলা সংগীত প্রতিযোগিতায় নজরুলসংগীত পরিবেশন করে চ্যাম্পিয়ন হন। ইয়াশমিন মুশতারীর সংগীতে হাতেখড়ি ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদের কাছে। শখের বসে আধুনিক গানও করে থাকেন এই শিল্পী। তার এ পর্যন্ত ৭টি নজরুলসংগীতের অ্যালবাম প্রকাশিত। তিনি নজরুলসংগীতের শিল্পী হিসেবে বেশি পরিচিত হলেও আধুনিক, ফোকসহ অন্যান্য গানেও তার কণ্ঠের মাধুর্য শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।
ইবরার টিপুর সুর সংগীতায়োজনে ইয়াসমিন মুশতারীর প্রথম আধুনিক গানের অ্যালবাম ‘সেদিনের এক বিকেলে’ ব্যাপক সাড়া ফেলে। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী পদক লাভ করেছেন। এছাড়াও তিনি চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডয়ে তিনবার নজরুলসংগীত শিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন।