বান্দরবানের রুমায় ৪৯ কেএনএফ সদস্য ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়িসহ এক চালককে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গত রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে থানচি ও রুমায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেন বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।
আটক কেএনএফ সদস্যরা হলেন, রোয়াংছড়ির ১নং রোয়াংছড়ি ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড রৌনিন পাড়া এলাকার জিংচুন নুং বমের ছেলে ভানুনুন নুয়াম বম, থানচির ৩নং সদর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সিমতাংপি পাড়া লাল মুন চম বমের ছেলে ও মেয়ে জেমিনিউ বম ও আমে লনচেও বম। এছাড়া বান্দরবান সদরের সুয়ালক চেকপোস্ট এলাকা থেকে থানচির টিএনটি পাড়া এলাকার মো. ইউছুফের ছেলে ও অপহরণে ব্যবহৃত গাড়ির চালক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সাগরকে (২৮) আটক করা হয়। এদিকে রুমা-থানচি উপজেলায় কেএনএফ’র লাগাতার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে অভিযানে যুক্ত হয়েছে সাঁজোয়া যান। এরই অংশ হিসেবে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে আনা হয়েছে বিশেষ সাঁজোয়া যান। যা দিয়ে এ দুই উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল দেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এই সাঁজোয়া যান হচ্ছে যুদ্ধে ব্যবহৃত একপ্রকার অস্ত্র সজ্জিত যানবাহন, যা মূলত পদাতিক বাহিনীর যুদ্ধের ময়দানে আসা-যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ব্যাপারে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, গতকাল রোববার গভীর রাতে থানচিতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে কেএনএফ’র ৪৯ সদস্যকে আটক করে। তাদের মধ্যে একজন ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ব্যাংক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে, সঙ্গে চালককেও আটক করা হয়। তিনি আরও বলেন, উপজেলাগুলোতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে চারটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও বাড়ানো হবে। চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসব সাঁজোয়া যানগুলো রুমা-থানচি উপজেলায় ব্যবহার করা হবে। অপরদিকে রুমা বাস মালিক সমিতির লাইনম্যান জাকির হোসেন জানান, সোমবার সকাল থেকে গণপরিবহনসহ অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিনা প্রয়োজনে বাড়ি থেকে কেউ বের হচ্ছে না।