গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলনের এক নেতা অভিযোগ করেছেন যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভণ্ডুল করার জন্যই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও চার নাতিকে বিমান হামলায় হত্যা করেছেন। বুধবার গাজায় ইসরাইলি হামলায় তারা নিহত হন।
হানিয়া নিজে বুধবার তার সন্তান ও নাতিদের ‘শাহাদাতের’ প্রশংসা করে বলেন, ‘গাজায় আমাদের সব মানুষ এবং সব পরিবার তাদের সন্তানদের রক্ত দিয়ে চড়া মূল্য পরিশোধ করছে। আমিও তাদের একজন।’ দোহায় নির্বাসিত জীবনযাপনকারী হামাস নেতা বলেন, তার ছেলে ও নাতিদের হত্যা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের অবস্থানে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
৬২ বছর বয়স্ক হানিয়ার যে তিন ছেলে বুধবার নিহত হন তারা হলেন আমির, হাজেম ও মোহাম্মদ। আর যে চার নাতি নিহত হন তারা হলেন মোনা, আমল, খালেদ ও রাজন।
হামাস নেতা বলেন, ‘শহিদদের রক্ত এবং আহত হওয়ার যন্ত্রণা দিয়ে আমরা আশা, সৃষ্টি করছি, ভবিষ্যত সৃষ্টি করছি, আমরা আমাদের জনগণ ও আমাদের জাতির জন্য স্বাধীনতা এবং মুক্তি নিশ্চিত করছি।’
হানিয়া আল জাজিরাকে বলেন, তার সন্তানরা উত্তর গাজার শাতি ক্যাম্পে স্বজনদের সাথে দেখা করতে গেলে হত্যার শিকার হয়।
তিনি ইসরাইলের নির্মমতা তুলে ধরেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি নেতাদের পরিবার ও বাড়িঘর টার্গেট করা হলেও তারা ভেঙে পড়বেন না।
তিনি বলেন, সন্দেহাতীত ব্যাপার হলো, শত্রুরা প্রতিশোধের নেশায় চালিত। তারা হত্যা ও রক্তপিপাসায় মত্ত। তারা কোনো মানদণ্ড বা নিয়ম মানে না।
তিনি বলেন, যুদ্ধের শুরু থেকে তার পরিবারের ৬০ জন নিহত হয়েছে।
হানিয়া বলেন, আমরা গাজায় সব আইন লঙ্ঘন হতে দেখেছি। এটা হলো জাতি নির্মূল এবং গণহত্যার যুদ্ধ। এটা হলো গণবাস্তুচ্যুতি।
সূত্র : আল জাজিরা, আরব নিউজ