গরমে স্বস্তি পেতে কমবেশি সবাই এসি ব্যবহার করছেন। তবে এসি ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি যে ব্যাপারটা চিন্তায় ফেলে সেটা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। বিদ্যুৎ বিল কমাতে এসি ব্যবহারে নানান ট্রিকস ফলো করেন। তবে যদি আপনি নতুন এসি কেনার কথা ভাবেন তাহলে ইনভার্টার স্মার্ট এসি কেনা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ইনভার্টার এসি সাধারণত দ্রুত সময়ে ঘর ঠান্ডা করতে পারে। এটি শুরুতেই বেশি শক্তি ব্যবহার করে চালু হয়। এবং পরে কম্প্রেসর পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে শুধু মোটর এর কাজের গতির পরিবর্তন হয়। শুরুতেই অধিক শক্তিতে কম্প্রেসর চালু হয়ে দ্রুত ঘরকে ঠান্ডা করে। ফলে শুধু যে ভালোভাবে ঘর ঠান্ডা হবে তা নয়, বরং সাশ্রয়ও হবে। ইলেকট্রিক বিল আকাশছোঁয়া হবে না। এছাড়াও এয়ার কন্ডিশনার ভালো থাকবে অনেকদিন।
সাধারণ এসি থেকে এই ইনভার্টার যুক্ত এসির কার্যকারিতা কিছুটা আলাদা, ঘর ঠান্ডা হওয়া অর্থাৎ কুলিং এবং এসি মেশিনের বিল- এই দুইয়ের নিরিখে। একটি এয়ার কন্ডিশনারে যখন ইনভার্টার থাকে তখন পাওয়ার কনজাম্পশন কম হয়। অর্থাৎ এসি মেশিন চললেও মারাত্মক ইলেকট্রিক বা বিদ্যুৎ খরচ হয় না। ফলে অস্বাভাবিক ইলেকট্রিক বিল আসার সম্ভাবনা কম। আজকাল বেশিরভাগ স্মার্ট এসি মেশিনেই রয়েছে ইনভার্টার টেকনোলজি।
একটি সাধারণ এয়ার কন্ডিশনার কোনো এলাকা ঠান্ডা করে ব্যবহারকারীর পছন্দসই তাপমাত্রায় নিয়ে আসে এবং পুরোপুরি কমপ্রেসার বন্ধ করে দেয়। এরপর যখন তাপমাত্রা পুনরায় বাড়তে শুরু করে তখন নতুন করে কমপ্রেসার চালু হয়। ফলে কারেন্ট কনজাম্পশন বেশি হয় এবং ইলেকট্রিক বিল বেশি আসতে বাধ্য।
অন্যদিকে যে এয়ার কন্ডিশনারে ইনভার্টার রয়েছে সেটি একটি এলাকার তাপমাত্রা কমিয়ে তা ঠান্ডা করে দেয়। কিন্তু কমপ্রেসার পুরো বন্ধ হয় না। সর্বনি¤œ একটা গতিতে চালু থাকে। তার ফলে তাপমাত্রাও খুব একটা বৃদ্ধি পায় না। আর বাড়লেও তার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে এয়ার কন্ডিশনারের। প্রয়োজনে গতি বৃদ্ধি পায় কমপ্রেসারের। সূত্র: হাইয়ার