করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৪ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে।
বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
ডা. ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরে ৫৬৩টি ও দেশের অন্যান্য ল্যাবরেটরিতে ৪২৫টি মিলিয়ে মোট ৯৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তন্মধ্যে ৯৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৫৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে পুুরুষ ৩৩ জন এবং নারী ২১ জন। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২১৮ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এ রোগে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ জনে। নতুন করে কেউ সুস্থ হননি। ফলে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩৩-ই আছে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বছর বয়সী ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১০ জন। নতুন আক্রান্ত ৫৪ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রাজধানী ঢাকায় ৩৯ জন শনাক্ত হয়েছেন।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি। মারা গেছেন ৮২ হাজারের বেশি মানুষ। তবে তিন লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকে প্রায় নিয়মিত কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর দিচ্ছিল আইইডিসিআর। সবশেষ হিসাবে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১৮। মারা গেছেন ২০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩ জন।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র