তীব্র তাপদাহ, অনাবৃষ্টি ও প্রচ- খরা থেকে রেহাই পেতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় মহান আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বৃষ্টির জন্য উপজেলার জাজিরা পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে খোলা আকাশের নিচে নামাজ আদায় করেন স্থানীয়রা। অনেক দিন বৃষ্টি না হওয়ায় আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন তারা। বৃষ্টির জন্য ইসতসকার নামাজের পর মোনাজাতে তারা বারবার বলতে থাকেন, হে আল্লাহ আপনি বৃষ্টি দান করেন,হে আল্লাহ আপনি বৃষ্টি দেন। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জাজিরা শামসুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রব হাশেমী। মাওলানা আব্দুর রব হাশেমী বলেন,কোরআন-হাদিসের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট পাপের তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন। মুসল্লিরা বলেন, জাজিরায় অনেকদিন ধরে বৃষ্টি হয় না। বৃষ্টি না হওয়ায় তাপদাহে দেশের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতে প্রয়োজন পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে পানি প্রার্থনা করে দোয়া করা সুন্নত। তাই এই নামাজের আয়োজন করা হয়েছে। আল্লাহ সৃষ্টির কল্যাণে আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন। কোরআনের অনেক জায়গায় আসমান থেকে পানি বর্ষণের কথা উল্লেখ আছে। বৃষ্টির পানি বর্ষণের মাধ্যমে আল্লাহ মানুষের জন্য রিজিকের ফয়সালা করেন। স্থানীয়রা বলেন, এ বছর অনাবৃষ্টি কারণে মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েন। প্রচ- গরম পড়ছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে, ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এ জন্য সৃষ্টিকর্তার দরবারে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করা হয়। আল্লাহর শরণাপন্ন হলে তিনি বিপদ-আপদ, দুঃখকষ্ট, বালা-মুসিবত অবশ্যই দূর করে দেন। দুনিয়ায় আল্লাহর অজস্র কুদরত ও নিদর্শনের মধ্যে বৃষ্টি এক বিশেষ নিদর্শন। বৃষ্টি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। বৃষ্টি আল্লাহর খাস রহমতের নিদর্শন। বৃষ্টি প্রসঙ্গে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,‘তিনি (আল্লাহ) যিনি তার রহমতের (বৃষ্টির) প্রাক্কালে বাতাসকে সুসংবাদ বাহকরূপে প্রেরণ করেন। যখন তা ঘন মেঘ বহন করে তখন আমি (আল্লাহ) তা নির্জীব ভূখ-ের দিকে চালনা করি। পরে সেটা হতে বৃষ্টি বর্ষণ করি। তারপর তার দ্বারা সব ধরনের ফল-ফসল উৎপাদন করি।’