টানা তৃতীয় মেয়াদে লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির নেতা সাদিক খান। জয়ের পর দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, পুনরায় নির্বাচিত হওয়া আমার জন্য সম্মানের। ল্ন্ডনবাসীকে আমার হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। গত শনিবার (৪ মে) ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
বিবিসি জানায়, কনজারভেটিভ প্রতিদ্বন্দ্বী সুসান হলকে ২ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে টানা তৃতীয়বার লন্ডনের মেয়র হলেন তিনি। ১৪টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে ৯টিতেই সাদিক খান জিতেছেন। তবে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের নির্বাচনের ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এবার ২৪ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ, ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বর্তমান মেয়র সাদিক খান ১০ লাখ ৮৮ হাজার ২২৫ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী সোসান হল ৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়েছেন। প্রায় ২ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন সাদিক খান।
সাদিক খানকে বিজয়ী ঘোষণার পর পূর্ব লন্ডনের সিটি হলে দেওয়া বিজয়ী ভাষণে তিনি বলেন, আমি যে নগরীকে ভালোবাসি তার সেবা করতে পারা আমার জন্য দারুণ সম্মানের।এজন্য আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গত কয়েক মাস আমাদের কঠিন সময় গেছে। আমরা অবিরাম নেতিবাচকতার প্রচারণার মুখোমুখি হয়েছি। আমি গর্বিত যে, সত্যের সাথে আমরা সেই ভয় দেখানোর উত্তর দিতে পেরেছি। ‘তৃতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হওয়া এবং উত্তর উত্তর জয়ের ব্যবধান বাড়ানো সত্যিই সম্মানের। আজ ইতিহাস গড়ার দিন নয় বরং আজ আমাদের ভবিষ্যতকে আরও উজ্জ্বল করার পথে এগিয়ে যাওয়ার দিন।’
এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী সুসান হল বিজয়ী সাদিক খানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নিজের বিজয়ী ভাষণে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে জাতীয় নির্বাচনের ডাক দেওয়ার আহ্বানও জানান সাদিক খান। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খানের এই জয়ের মধ্যে দিয়ে লেবার পার্টি আরও শক্ত অবস্থানে চলে গেল। সাদিক খান প্রথমবার ২০১৬ সালে প্রথম মুসলিম হিসেবে লন্ডনের মেয়র নির্বাচিন হন।
সাদিক খানের জন্ম লন্ডনে, ১৯৭০ সালের ৮ অক্টোবর। এর দুই বছর আগে ১৯৬৮ সালে তাঁর মা-বাবা পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যের অভিবাসী হিসেবে পাড়ি জমান। বাবা আমানউল্লাহ ছিলেন বাসচালক। মা শেহরুন করতেন দরজির কাজ। সাত ভাই ও এক বোনের মধ্যে সাদিক পঞ্চম। সূত্র: বিবিসি