এক অসহায় দরিদ্র ভ্যানচালকের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আকুতি করেছেন দানশীল ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা ব্যহত হওয়ায় তিনি সুস্থ্য হবেন কিনা না মৃত্যু পর্যন্ত পঙ্গুত্য বরণ করতে হবে তা নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। পরিবারও নিঃস্ব হয়েছে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে। দু-মাস ধরে বাড়িতেই চিকিৎসা অভাবে দিন কাটাচ্ছেন। মোঃ আতিয়ার রহমান(৬০), পেশায় একজন ভ্যান চালক। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মাত্র তিন শতক জমিতে বাড়ি করে বসবাস করছেন। একমাত্র ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করে তার স্ত্রী জীবন জীবিকা চালিয়ে আসতো। আতিয়ার রহমান বৃদ্ধ বয়সে কোন রকম ভ্যান চালিয়ে স্ত্রী ও কন্যা সন্তান নিয়ে সংসার চালাতো। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা তার ভাগ্যকে থমকে দিয়েছে। এ বছর জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে অটোরিকশার তার ভ্যানের দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আতিয়ার রহমানের ডান পা ভেঙে যায়। পায়ের হাড় ভেঙে ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় তার চিকিৎসার জটিল হয়ে পড়ে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পান। ওইদিন গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার আহত’র সংবাদ পেয়ে ছেলে কাজ-কর্ম ছেড়ে চলে আসে। কোন আয় না থাকায় ভ্যান বিক্রি ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় মার্চ মাস পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আসে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তার নিয়মিত ডাক্তার দেখানো, পরীক্ষা-নিরিক্ষা ও ওষুধ খাওয়া অর্থাভাবে ব্যহত হচ্ছে। তার সুস্থ্যতার চেষ্টায় স্ত্রী ও সন্তান ধার, ঋণ করেও সফল হচ্ছে না। কারণ যেভাবে অর্থের দরকার সেভাবে অর্থ না থাকায় এক প্রকার দায়সারাভাবে চিকিৎসা সেবা হচ্ছে। ফলে আতিয়ার রহমান সুস্থ্যতা নিয়ে হতাশা দিন কাটছে। স্ত্রী আপতা বানু বলেন, স্বামীর বয়স হলেও সবল ছিলো, সে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতো। কিন্তু দুর্ঘটনা সব কেড়ে নিলো। সব ভ্যান বিক্রি ও ধার, ঋণ এলাকার লোকজনের সহযোগীতায় তার চিকিৎসায় দুই লাখেরো বেশী টাকা খরচ হলো কিন্তু সুস্থ্য হলনা। সুস্থ্য হওয়ার জন্য এখন তার নিয়মিত পরীক্ষা ও ওষুধ খেতে হবে। দিনে ৫শ টাকার মত ওষুধ লাগে। এ টাকা কিভাবে যোগাড় করি। টাকার অভাবেই মনে হয় তার ওষুধ কিনতে পারছি না। এ দুনিয়ায় অনেক মানুষ আছে যারা অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসে। আমি তাদের কাছে আকুতি করছি আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য সাহায্যের। আমার নগদ নম্বর-০১৩০২৩৮৯২৯৯, অথবা আমার শুভাকাঙ্ক্ষীর বিকাশ নম্বর-০১৩১৭১৪৮১৮৩।