নজের শিক্ষাগত যোগ্যতাও হলফনামায় স্পষ্ট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তিনি। এক কথায় বলা যেতে পারে ‘ভারতের সর্বময় কর্তা’। যদিও তিনি দাবি করেন, তিনি ‘ফকির’, তার কোনো পরিবার নেই, পিছুটান নেই। ফলে যেকোনো সময় ঝোলা হাতে বেরিয়ে যেতে দ্বিতীয়বার ভাববেন না। এহেন নরেন্দ্র মোদির ঝোলায় ঠিক কত সম্পত্তি রয়েছে? তা নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেশবাসীর। বারানসির বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেয়ার পর প্রকাশ্যে এলো তার সম্পত্তির খতিয়ান। যেখানে দেখা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদির গাড়ি, বাড়ি কিছুই নেই। তবে বিজেপির বেশিভাগ প্রার্থীর মতো তিনিও কোটিপতি।
নরেন্দ্র মোদির হলফনামা অনুযায়ী, গাড়ি, বাড়ি এমনকি নিজের কোনো জমি না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি রুপির (ভারতীয় টাকা) কিছু বেশি। হিসাব বলছে, মোদির হাতে নগদ রয়েছে ৫২ হাজার ৯২০ রুপি। গান্ধীনগর ও বারানসির দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার জমা রয়েছে ৮০ হাজার ৩০৪ রুপি। এর পাশাপাশি ২.৮৬ কোটি রুপি ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে জমা রয়েছে স্টেট ব্যাংকে। এছাড়া অস্থাবর সম্পত্তির তালিকায় ৯.১২ লাখ রুপি একটি বিনিয়োগ রয়েছে তার। এর পাশাপাশি ৪টি সোনার আংটি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। যার বাজার মূল্য ২.৬৮ লাখ রুপি।
এছাড়াও হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতাও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেছেন তিনি। এর পর ১৯৮৩ সালে কলা বিভাগে স্নাতকোত্তর পাশ করেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক মামলাও নেই।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ নাগাদ বারানসির জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছে মনোনয়ন পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মনোনয়ন জমা দেয়ার সময়ে মোদির সঙ্গী ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। গত দুবারের প্রথা মেনে এদিনও মনোনয়ন জমা দেয়ার আগে বারানসির কাল ভৈরব মন্দিরে গিয়ে পূজা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
মনোনয়ন জমার পর মোদি বলেন, ‘আমি অভিভূত এবং আবেগপ্রবণ। আপনাদের স্নেহের ছায়ায় কিভাবে ১০টা বছর কেটে গেল বুঝতেও পারিনি। আজ আমার মনে হচ্ছে মা গঙ্গা আমায় দত্তক নিয়েছেন।’ সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন