যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে আগে যে কথা বলেছিল নির্বাচনের পরেও সেই কথাই বলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) কারামুক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর বাসায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন তিনি।
ড. মঈন খান বলেন, ‘সরকার যদি ভাবে মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সাথে এসে কথা বলেছে, তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, এটা সরকারের ভুল ধারণা। নির্বাচনে আগে যে কথা বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে।’ বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘সরকারের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, আটকের একটিমাত্র উদ্দেশ্য হলো- এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দিবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেয়া হবে না। গণতন্ত্র দেয়া হবে না। সরকার অধিকার হরণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা বা যে প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা করে থাকে, যেমন- নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ; সরকার সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে বিরোধীদলকে দমন-নিপীড়ন করেছে। সরকার জানে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া হয় তাহলে এ দেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতির আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। এ জন্য তারা বিরোধী দলগুলোকে কথা বলতে দিচ্ছে না। সুষ্ঠু নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে।’ এ সরকারের কোনো ভিত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এদেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদেরকে ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার শঙ্কিত ও ভীত। এজন্য সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ বলে দিবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে! ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কী পরিণতি হয়। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।’ সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে- এমন মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, ‘অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর করে দিয়েছে তারা। দেশে আর সুস্থ ধরার রাজনীতি নেই। এখন আছে প্রতিহিংসার রাজনীতি, সংঘাতের রাজনীতি।’
দুষ্টু চক্রের রাজনীতি থেকে সরকারকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মঈন খান বলেন, ‘গণতন্ত্রের পথে হাঁটবেন। এটা শুধু আপনাদের জন্যই নয়, জনগণের জন্য মঙ্গলজনক।’ তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে মানুষের অধিকার একটা চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা। মানুষের অধিকার যদি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত না হয়, দেশ সৃষ্টির পেছনে যে আদর্শ ও উদ্দেশ্য ছিল তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।’