মুজিববর্ষের অঙ্গীকার সকল সড়ক হবে জনসাধারনের জন্য নিরাপদ এই শ্লোগান নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে একটি আধুনিক রোল মডেল হিসেবে সকল জেলা-উপজেলাতে নতুন নতুন সড়ক ও সড়ক প্রস্তুত করণসহ বিভিন্ন কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়কের ৪-লেনে উন্নীতকরন প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগ।এই প্রকল্পের পটভূমি হলঃ ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুড়িয়া সংযোগকারী ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় মহাসড়কটি ঝিনাইদহ জেলার আরাপপুর হতে শুরু হয়ে কুষ্টিয়া জেলার প্রাণকেন্দ্র মজমপুর রেলগেট অতিক্রম করে পাকশী হয়ে পাবনা জেলার দাশুড়িয়া নামক স্হানে শেষ হবে। শুধু তাই নয় রাস্তার মাঝখানে সড়ক বাতির খুঁটি স্থাপনা করা হয়েছে। এবং ফোর লেনের মাঝখানে আইল্যান্ডের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৭৪ কোটি টাকা। অতীতে এই ফোর লেনের কাজ ধীর গতিতে চলতে থাকে। মজমপুর গেট হয়ে মঙ্গলবাড়ী পর্যন্ত বছরের পর বছর পরে ছিল। আর এই পথ দিয়ে চলতে যেয়ে ঘটত নানা দূর্ঘটনা। এমনকি মেয়েদের পেটে আসা বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। অবশেষে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম যোগদান করার পর তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের সকল কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে সেই মজমপুর থেকে মঙ্গলবাড়ী পর্যন্ত রাস্তার কাজ শেষ করেছে। এখন জনমনে স্বস্তি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এই নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম ফোর লেনের কাজ প্রতিদিন নিয়মিত দেখভাল করছেন।এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার আমার উপর যে অর্পিত দায়িত্ব দিয়েছে সেটা আমি সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়া সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী স্যারের দিক নির্দশনায় আমি নিজে সরেজমিনে যেয়ে কাজের গুনগত মান দেখভাল করছি এবং এখন পর্যন্ত কোন অনিয়ম বা সিডিউল বর্হিভূত কোন কাজ আমাদের চোখে পড়েনি। আর যদি কোন অনিয়ম চোখে পড়ে বা সিডিউল মোতাবেক না হয় তাহলে সেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে। ফোর লেন প্রকল্প নিয়ে স্হানীয়রা জানান, এই নির্বাহী প্রকৌশলী যোগদান করেই স্বচ্ছতার আলোকেই চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে দেখভাল করতে দেখছি।কুষ্টিয়ার সচেতন মহলের সাথে কথা বলে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন বর্তমানে যে কাজগুলো হচ্ছে তা অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক স্বচ্ছ ও সিডিউল মোতাবেক।তারা আরও জানান,এই নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম কাজের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। তবে একথা সত্য যে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাইমুর রহমান তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে অত্যন্ত সোচ্চার। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সকল কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার সুধীজনরা।