রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::

দেশ থেকে পাচার হয়েছে ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত পাচার হয়েছে ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা। এই তথ্য তুলে ধরেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। গত সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির মিলনায়তনে বিকল্প বাজেট উপস্থাপন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আইনুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি সমিতির সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান ও সাবেক সভাপতি আবুল বারকাত। সমিতির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কালোটাকা ও পাচার হওয়া অর্থ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতি সমিতির নেতারা। তারা বলছেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে মোট পুঞ্জীভূত কালোটাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ কোটি টাকা। আর পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে আগামী অর্থবছরে যদি কালোটাকার মাত্র দশমিক ৯৮ শতাংশ ও পাচার হওয়া অর্থের দশমিক ৪৯ শতাংশ উদ্ধার করা যায়, তাহলে সরকারের আয় হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
প্রতিবছরের মতো এবারও বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে অর্থনীতি সমিতি। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য তারা ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বাজেটের আকার চলতি অর্থবছর সরকারের বাজেটের তুলনায় ১ দশমিক ৫৭ গুণ বেশি। একই সঙ্গে আগামী অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী যে বাজেট দিতে যাচ্ছেন, তার তুলনায় ১ দশমিক ৪৯ গুণ বেশি হবে। জাতীয় সংসদে আগামী ৬ জুন অর্থমন্ত্রী প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন।
অবশ্য চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ২০ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকার বিকল্প বাজেটে প্রস্তাব করেছিল। অর্থনীতি সমিতির নেতারা বলেন, অন্য কোনও ধরনের বাজেট দিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাঙ্ক্ষিত উত্তরণ-রূপান্তর সম্ভব নয়। বিকল্প বাজেট বাস্তবায়ন করলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে একদিকে বিপজ্জনক বৈষম্যপূর্ণ অবস্থা থেকে স্বল্প বৈষম্যপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব। পাশাপাশি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে দরিদ্র, বিত্তহীন, নি¤œবিত্ত, নি¤œমধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থান থেকে একটি শক্তিশালী টেকসই মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উত্তরণ ঘটাবে।
আইনুল ইসলাম বলেন, অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাবিত ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেটে রাজস্ব আয় থেকে আসবে ১০ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৯২ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর বাকি ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৭০ হাজার ৭১৯ কোটি টাকার ঘাটতি অর্থায়ন জোগান দেবে সম্মিলিতভাবে বন্ড বাজার, সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্ব। প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেট অর্থায়নে কোনও দেশি-বিদেশি ঋণের প্রয়োজন হবে না।
সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়াতে অর্থনীতি সমিতির নেতারা সম্পদ কর, অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর, অর্থ পাচার ও কালোটাকা উদ্ধার থেকে প্রাপ্তি, বিদেশি নাগরিকের ওপর কর, বিভিন্ন কমিশন ও বোর্ড থেকে আহরণ বৃদ্ধি এবং সরকারের সম্পদ আহরণের প্রচলিত বিভিন্ন উৎস থেকে আদায় বাড়াতে জোর দেন।
অর্থনীতি সমিতি বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনায় শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে ১২ দশমিক ৮৮ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, কৃষিতে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ, স্বাস্থ্যে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, জনপ্রশাসনে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ, পরিবহন ও যোগাযোগে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বরাদ্দ দিয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com