জেলায় এ বছর লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে তিল চাষ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বীজ এবং আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে এ মৌসুমে তিলের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ মৌসুমে তিল চাষের লক্ষমাত্র ছিল ২ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৪২৪ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে ৬৬৯ হেক্টর বেশি।
মোট চাষকৃত জমির মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় ১ হাজার ৯০৭ হেক্টর, শ্রীপুরে ৬২০ হেক্টর, শালিখায় ৫৬৫ হেক্টর এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ৩৩২ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের তিলের চাষ হয়েছে। চাষকৃত মোট জমি থেকে প্রায় ৪ হাজার ৩৮৪ মেট্রিক টন তিল উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিনা তিল-২ও ৪ জাত এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি তিল-২ও ৪সহ স্থানীয় উন্নত জাতের তিল চাষ করেছেন জেলার কৃষকরা।
সদর উপজেলার মালিক গ্রামের কৃষক বাহারুল ইসলাম জানান, তিনি কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ বছর ২ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি তিল-৪ জাতের তিল চাষ করেছেন। দুই বিঘা জমি থেকে তিনি প্রায় ৯ মণ তিল পাবেন বলে আশা করছেন।
মাগুরা সদর উপজেলার বড়খড়ি গ্রামের কৃষক মোহাইমিন আলম ইসলাম জানান, তিনি এ বছর প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমিতে উচ্চফলনশীল বারি তিল-২ জাত চাষ করেছেন। চাষকৃত জমি থেকে প্রায় ১৮ মণ ঘরে তোলার পাশাপাশি ভালো দামে তিল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
এ বিষয়ে মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. ইয়াছিন আলী জানান, তিল একটি তেল জাতীয় ফসল। সরকার তেল জাতীয় ফসলের উপরে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তিলের ভালো ফলন হবে। তিলের উৎপাদ বৃদ্ধির জন্য মাগুরা কৃষি বিভাগ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন এবং বিভিন্ন পরমর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছে। বিনা ও বারি কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল তিল চাষের কারণে সার্বিক উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকরা ভালো দামে তিল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। তিলের তেল পুষ্টি সমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্য সম্মত বিধায় তিল উৎপাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা।