কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চলমান অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের পরপরই ওই কোরবানি পশুর হাট বন্ধ করে সব অবকাঠামো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে বাংগড্ডা ইউনিয়নের বাংগড্ডা বাজার এলাকার কাদোবা (নিমুই) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি যুক্তিখোলা বাজারের গরুর হাট বন্ধ হওয়ায় কাদোবা গ্রামের হুমায়ুন কবির বজলু কাদোবা (নিমুই) গ্রামে তার মাছ চাষের মাটি দিয়ে ভরাট করে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে প্রতি শুক্রবার পশুর হাট বসান। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করে। সেই অনুযায়ী জায়গার মালিক হিসেবে হুমায়ুন কবির বজলু ৬ হাজার টাকা দর দিয়ে দরপত্র জমা দেন। অন্যদিকে বাংগড্ডা গ্রামের সবুজ নামে এক ব্যক্তি ২১ হাজার টাকা দর দিয়ে দরপত্র জমা দেন। দর বেশি দেওয়ায় সবুজ হাটের ইজারা পান। ইজারা পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে লোকজন নিয়ে পশুর হাটে বাঁশ গাড়তে থাকেন তিনি। এ সময় হুমায়ুন তাদের বাধা দেন। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য গতকাল বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান পশুর হাটে গিয়ে চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মজুমদার, সদস্য জামাল উদ্দিন ও সাবেক সদস্য আবদুল মালেককে নিয়ে বসেন। এ অবস্থায় হুমায়ুন ও সবুজের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। তাৎক্ষণিক সহকারী কমিশনার দুই গ্রুপকে দুদিকে পাঠিয়ে দেন। এরই মধ্যে কাদোবা গ্রামের মোহাম্মদ বাংগড্ডা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে সবুজের লোকজন তাকে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে হুমায়ুনের লোকজন সবুজের লোকজনকে ধাওয়া দিলে উভয়পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি ঘটনাস্থলে এসে পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পাশাপাশি পশুর হাটটি বন্ধ করে দিয়ে বাঁশ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, দুপক্ষের মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। অভিযোগের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।