২০২২ সালে শ্যামল মাওলা ও পূজা চেরিকে নিয়ে ওয়েব ফিল্ম আকারে শুটিং শুরু হয় ‘আগন্তুক’ ছবিটির। সে সময় ওয়েব ফিল্মটি নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও বেরিয়েছিল। দীর্ঘ সময় নিয়ে তিন ধাপে ছবিটির শুটিং শেষ করা হয়। এখন শোনা যাচ্ছে, ঈদুল আজহায় এটি এখন সিনেমা আকারে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। তবে ছবির পরিচালক সুমন ধর জানালেন ভিন্ন কথা।
সুমন ধর বলেন, ‘প্রথম ধাপে শুটিং করার তিন দিনের মাথায় আমরা এটিকে সিনেমা আকারে নির্মাণের প্রস্তুতি নিই। সেই সময় ইউনিট আরও বড় করি। সিনেমা আকারে শুটিং শুরু করি। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এন্টারটেইনমেন্ট একাত্তর বাজেট সমস্যায় পড়ে। দুই ধাপ কাজ শেষ করার পর শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। পরে আরেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অভি কথাচিত্র এসে বিনিয়োগ করে। ২০২৩ সালে শেষে এসে এর শুটিং শেষ হয়।’ কিন্তু জানা যায়, ওয়েব ফিল্মের পারিশ্রমিক হিসেবে ছবির নায়িকা যে পারিশ্রমিক নিয়েছেন, সিনেমায় সেটি দ্বিগুণ হবে। সিনেমা ঘোষণা দেওয়ার পর নায়িকার পারিশ্রমিক বাড়েনি। সে কারণে নাকি ছবিটি নিয়ে নায়িকার কোনো প্রচার-প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না।
সত্যতা স্বীকার করে পরিচালক বলেন, ‘এটা ঠিক, পূজাকে যে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে, সেটি ওয়েব ফিল্মের। কিন্তু সিনেমার হিসাব ভিন্ন। বিশ্বাস করেন, ছবির প্রথম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কারণেই এসব ঝামেলা তৈরি হয়েছে। এমনকি আমি তাদের হয়ে প্রথম দুই ধাপ কাজ করেছি, পরিচালক হিসেবে আমি কোনো পারিশ্রমিক এখনো পাইনি। তবে পরে যাঁরা ছবিটি বিনিয়োগ করে প্রযোজক হয়েছেন, তাঁরা পূজার বিষয়টি হয়তো সমাধান করতে পারেন।’ এদিকে ওয়েব ফিল্ম থেকে সিনেমা আকারে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির বিষয় নিয়ে অভি কথাচিত্রের কর্ণধার জাহিদ হাসান বলেন, ‘এটি আমরা সিনেমা হিসেবে বিনিয়োগ করেই কিনে নিয়েছি। আগে ওয়েব আকারে তৈরি হচ্ছিল কি না, জানি না। আবার বাবা কামাল আহমেদের নামে এটি সেন্সর করা হয়েছে।’ এ ব্যাপারে প্রথম আলো থেকে পূজা চেরির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ‘আগন্তুক’ ছবিটি ঈদে ৯টি মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাবে।