শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

বাম্পার উৎপাদন আর ভাল দামে হাসি বেলাবোর লটকন চাষিদের মুখে

বেলাবো (নরসিংদী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪

বর্তমানে সারাদেশে খুব জনপ্রিয় এক ফলের নাম লটকন। সাধারণত নরসিংদী জেলার বেলাবো ও শিবপুরে ব্যাপক পরিমানে উৎপাদন হয় এ সুস্বাদু ফল। তবে পাশ্ববর্তী কয়েকটি জেলা ও উপজেলাতেও যৎসামান্য উৎপাদিত হয়। নরসিংদী জেলায় লটকন চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর লটকনের বাম্পার ফলন হয়েেেছ। সেই সাথে বেড়েছে দামও। অধিক ফলন ও বাড়তি দামে লটকন চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। বর্তমানে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা কেজিতেও লটকন বিক্রি হচ্ছে। বেলাবতে গ্রামে গ্রামে দেখা যাচ্ছে লটকনের পাইকার। তাছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকেও মানুষ এসে লটকন কিনে নিচ্ছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে বেলাবোর লটকন। ফলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন উপজেলার লটকন চাষিরা। এখানে প্রতি বছরই বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা ঝুঁকে পড়ছে লটকন চাষের প্রতি। এ অঞ্চলের লটকন এখন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে করে এ অঞ্চলের চাষিদের ভাগ্য বদলে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে রসালো ফল মানেই লটকন। আর লটকন মানেই নরসিংদী জেলার বিভিন্ন উপজেলা। নরসিংদীর উঁচু আর লাল মাটির টিলা লটকন চাষের জন্য বেশ উপযোগী। লটকন চাষে রোগবালাইয়ের তেমন একটা ঝামেলা নেই এবং খরচ ও কম। রোপণের ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যেই ফলন আসে। ফল দেয় টানা ২০ থেকে ৩০ বছর। তাছাড়া লটকন বিক্রি নিয়ে ও কোনো চিন্তা নেই। কারণ পাইকাররা বাগান থেকেই লটকন কিনে নিয়ে যান। বেলাব উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বেলাব ছাড়াও শিবপুর, রায়পুরা ও মনোহরদী উপজেলায় লটকন চাষ হয়। বাড়ির আঙিনায় ও পতিত জমিতে লটকন চাষ করা হয়। বর্তমানে এ উপজেলার শত শত চাষি লটকন চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য পেয়েছে। বেলাব উপজেলার চকমখোলা গ্রামের লটকন চাষী ফারুক মিয়া বলেন, আমি ৩ একর জমিতে লটকন বাগান করেছি। এ বছর এ বছর বাগান তিনটি প্রায় ৭ লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি। আমলাবরের এক চাষী বলেন, ৪ বিঘা জমিতে লটকন চাষ করে আমার খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। লটকন বিক্রি করতে পারব আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা। তিনি আরো বলেন, এই এলাকার লটকন খুবই সুস্বাদু। এই অঞ্চলের অনেকেই লটকন চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে এই অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী ফসল লটকন। আমাদের এলাকায় অনেকেই লটকন চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। সরকার লটকন চাষিদের প্রতি গুরুত্ব দিলে এই এলাকার লটকন উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com