‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর করবেন। এ সফরের জন্য আমরা প্রতীক্ষা করছি। সফর সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও চীনা পক্ষ একযোগে কাজ করছে। চীন বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’
গতকাল সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের মিনিস্টার লি জিয়ান চাও।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করে লি জিয়ান চাওয়ের নেতৃত্বাধীন চীনা প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে লি জিয়ান চাও সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ৫০ বছরের গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। আমরা দুই দেশই আরও গভীর সম্পৃক্ততা চাই।
তিনি বলেন, ‘অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইত্যাদি খাতে দুই দেশই সহযোগিতা বাড়াতে চায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরে এসব বিষয়ে ফল আসবে।’ সফরকালে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন লি জিয়ান চাও।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। আমরা এ সঙ্কটের সমাধান চাই।
চীনা মন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে চায়। সে লক্ষ্যে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮-১১ জুলাই চীন সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকে সামনে রেখে ২২ জুন দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের মিনিস্টার লি জিয়ান চাওয়ের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধিদল চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছে।