জন্মের আগেই মৃত্যুর সার্টিফিকেট স্কুলের রেজুলেশন করার আগেই আগাম স্বাক্ষর দিয়ে বিতর্কিত। জন্মের আগেই মৃত্যুর সার্টিফিকেট প্রদান করে চরম বিতর্কিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এযেন আমাদের সকলের জন্মের আগেই মৃত্যুর সার্টিফিকেট। বিচিত্র সেলুকাস আর বিচিত্র চিন্তা ভাবনা নিয়ে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে উত্তর পশ্চিম সোহাগদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হালহকিকত। সরকারি শিক্ষা নীতিমালার তোয়াক্কা না করে প্রধান শিক্ষক ইচ্ছে মতন চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছে সুকৌশলে। আর সেই সূত্র ধরেই চলতি মাসের ০৯/০৬/২৪ তারিখে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১২ জনকে সন্মার্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি অধ্যক্ষ শাহ আলম স্যার। অথচ ঐ তারিখে রেজুলেশন এজেন্ডার সাথে আলাপ চারিতা না করে নাম মাত্র সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। অথচ বেআইনী ভাবে ঠান্ডা মাথায় দুর্নীতি করার দুঃসাহস দেখায়। প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি এখানেই শেষ নয়। গত ০৯/০৬/২৪ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ শামীম হোসেন মিন্টু, মোঃ মোতাহার হোসেন ও মোঃ জাহিদ হোসেন উপস্থিত হইয়া প্রধান শিক্ষকের কাছে এজেন্ডা সম্মন্ধে জানতে চাইলে তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে যায়। এমনকি খসড়া ভোটার লিস্ট দেখতে চাইলেও তাৎক্ষণিক ভাবে দেখাতে সক্ষম হয়নি। এমনকি পরবর্তী সময়ে নোটিশ বোর্ডেও টাঙানো ছিল না। মজার বিষয় উত্তর পশ্চিম সোহাগদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার এলাকার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষেরা। প্রধান শিক্ষক গ্রীন তালুকদারের দুর্নীতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরলেন সরেজমিনে যাওয়া গণমাধ্যম কর্মীরা। বিদ্যালয়ের ক্যাশ বহিতে লিপিবদ্ধ না করে জোরা কলম ক্যাশ বহিতে আয় ব্যায়ের হিসাব লিপিবদ্ধ করেন গত ১১/০৩/২৩ তারিখে। ঔষধ কোম্পানির প্যাড কাগজে ৭নং ভাউচারে নিয়োগ প্রক্রিয়ার খরচ বাবদ একলক্ষ চৌদ্দ হাজার সাতশো চল্লিশ টাকা খরচ দেখাইয়াছে। এছাড়াও গত ১৬/০৬/২৩ তারিখে নিয়োগ প্রক্রিয়ার চতুর্থ শ্রেণি ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের হিসাব নিকাশ ৫৪ নং ভাউচারে একলক্ষ ষোল হাজার আটাশ উনত্রিশ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এছাড়াও ১৭/০৩/২৩ তারিখে ৪৫ নং ভাউচারে পুনরায় আটাশ চল্লিশ টাকা বাড়তি খরচ দেখায়। অথচ যাহা ৪৪ নং ভাউচারে লিপিবদ্ধ ছিল। অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ঠান্ডা মাথায় এহেনও বেআইনী কাজকর্ম করে চরম নিন্দিত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও গত ৭/০৯/১৯ তারিখে ১৫২ নং ক্রমিকে প্রশংসা পত্র খ্যাতে ১০০ টাকা, ০৮/০১/২২ তারিখে ২৬২ নং ক্রমিকে ২০০ টাকা, ২২/০৬/২২ তারিখে ২২৬ নং ক্রমিকে ৩০০/, ১৪/১২/২২ তারিখে ২৯৫ নং ক্রমিকে ৩৯০/,১৭/১২/২২ তারিখে বলেন ২৯৬-৯৭-৯৮ নং ক্রমিকে ৮০০/, ২৬/১২/২২ তারিখে ২৯৯/৩০০ ক্রমিকে ৬০০/,২৯/১২/২২ হতে ২০/০৩/২৩ তারিখ পর্যন্ত ৩০১ ক্রমিক হইতে ৩৪২ নং পর্যন্ত ৩০১ ক্রমিক হইতে ৩৪২ নং ক্রমিকে মোট ১১,৪০০/ লিপিবদ্ধ হয়।সর্বমোট ১৪৫০০ টাকা। অথচ ঠান্ডা মাথায় এতগুলো ক্রমিক বইির টাকা আত্মসাৎ করেছেন সুকৌশলে। বর্তমান সময়ে প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করার পর পর-ই শুরু হয় নোংরা মানসিকতা দিয়ে সুকৌশলে দুর্নীতি করার দুঃসাহস। এব্যাপারে সুশীল সমাজের বেশির লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, উত্তর পশ্চিম সোহাগদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুর্নীতি এখন সকলের কাছে ওপেন সিক্রেট। নইলে মিটিং করার আগেই রেজুলেশন বহিতে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর হয়ে যায়। বিচিত্র সেলুকাস আর বিচিত্র চিন্তা ভাবনা নিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানের বেআইনী কাজকর্ম। দেখার কেউ নেই উত্তর পশ্চিম সোহাগদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিষয়ে। এযেন জন্মের আগেই মৃত্যুর সার্টিফিকেট প্রদান। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের। তিনি মৃদু হাসি দিয়ে বলেন। এটাও কি বিশ্বাস করতে হবে। আসলে কি হচ্ছে আমাদের স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে। নিয়ম বহিঃ ভূত ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করার নমুনা স্থাপন করলেন। এটা আমাদের সকলের জন্য লজ্জা ছাড়া আর কিছু নয়। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুসারে তথ্য উদঘাটন করবো। অভিযোগ প্রমাণ হলে শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী কঠিন শাস্তির আওতায় আসবে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কথা বলার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক গ্রীন তালুকদারের সাথে। তার ফোন বন্ধ পাওয়ার পর সাংবাদিকরা সরাসরি প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য, সাধারণ শিক্ষক, অভিভাবক, মহিলা সদস্য, দাতা পরিবার, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষকের সাথে কথা হয়। সকলেই মুখ খুলতে নারাজ। মিডিয়ার প্রশ্ন ছিলো, রেজুলেশন আগে নাকি স্বাক্ষর আগে। কোন বিষয়টি আগে হওয়া দরকার। তাহলে দুর্নীতি হয়েছে এবং প্রধান শিক্ষক সরাসরি কঠিন দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত। নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকার সাধারণ মানুষ সহ বহু অভিভাবকরা সরাসরি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরলেন। ঠান্ডা মাথায় প্রধান শিক্ষক গ্রীন তালুকদার দুর্নীতি করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করলাম। আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ পেশ করবো। পাশাপাশি অনুলিপি কপি জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিস, পিরোজপুর জেলা প্রেসক্লাব ও স্বরূপকাঠি প্রেসক্লাবেও কপি প্রদান করবো। অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক গ্রীন তালুকদার স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ার পিছনে একটা মোটা অংকের লেনদেন ছিল।