রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা রাইসির পথ অব্যাহত রাখতে নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের প্রতি ইমাম খামেনির আহ্বান আসামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি নেই, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ কোটা বাতিলসহ আরও তিন দাবি অনড় শিক্ষার্থীরা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার: রিজভী সিরাজগঞ্জে গো-খাদ্যের সংকট, বিপাকে খামারিরা শখের বসে শুরু, এখন বছরে আয় ৫ লাখ টাকা যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বাংলাদেশী, পাকিস্তানি ও কাশ্মিরি প্রার্থীদের জয়জয়কার ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার প্রচেষ্টা কিছুটা আটকানো গিয়েছে: অমর্ত্য কোটাবিরোধী আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার: ওবায়দুল কাদের

দেবিদ্বারে ঝূঁকিপূর্ণ সেতুতে চালক ও যাত্রীদের আতংকে পারাপার

ওমর ফারুক সরকার (দেবিদ্বার) কুমিল্লা
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪

গোমতী সেতুর রেলিং ১৫ বছরেও সংস্কার করা হয়নি

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় গোমতী নদীর উপর নির্মিত দেবিদ্বার- খলিলপুর সংযোগ সেতু। সেতুর দুই পাশের ফুটপাতের রেলিং নেই। যে অংশে রেলিং আছে সেগুলোও জরাজীর্ণ। রেলিং না থাকায় চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। দিনে আতঙ্ক নিয়ে যানবাহন চললেও রাতে চলে না। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন নদী পার হন এপার ওপারের ২৫টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। ১৫ বছর ধরে এমন পরিস্থিতি বিরাজ দ্রুত করছে। দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান স্থানীয়রা। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ২০০৫ সালে সেতুটি নির্মিত হয়। দৈর্ঘ্য ১৩০ মিটার। নির্মাণকালে ত্রুটির কারণে সেতুটির মাঝের অংশ তখনই দেবে যায়। এ অবস্থায় নির্মাণকাজ শেষ দেখিয়ে বিল উত্তোলন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধনের দুই বছর পর থেকে ভাঙতে শুরু করে সেতুর ফুটপাতের রেলিং। যা ১৫ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। খলিলপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মুন্সি বলেন, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত এ সেতু পারাপার হয়। সেতুতে দুটি গাড়ি ক্রস করতে গেলে বিপাকে পড়েন পথচরীরা। রেলিং না থাকায় যেকোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা ইলেকট্রিশিয়ান জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, রেলিং না থাকায় সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করতে আমাদের আতংকে থাকতে হচেছ। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাতায়াত করতে ভয় পায়। এভাবে আর কতদিন চলবে? আমরা বহুবার সেতুটি সংস্কারের দাবি করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, উপজেলার দুইটি ইউনিয়নসহ আমাদের উপজেলার সাথে পার্শ্ববর্তী বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কিছু এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম এ সেতু। বিশেষ করে বালিবাড়ি, হামলাবাড়ি, বারেরারচর, খলিলপুর, আশানপুর, জয়পুর, কামারচর, হেতিমপুর, নূরপুর, বড়কান্দা ও বুড়িরপাড়সহ প্রায় ২৫ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু পার হন। সেতুর রেলিং নির্মাণ ও সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার জানান, খলিলপুর সেতু সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট পাঠানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই কাজ শুরু হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com