বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ আসমা আব্বাসী ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। গতকাল শুক্রবার দুপুরে গুলশান আজাদ মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আসমা আব্বাসী বরেন্য শিল্পী মুস্তফা জামান আব্বাসীর সহধর্মিনী। অধ্যাপক আসমা আব্বাসী সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি নানা সেবামূলক কার্যক্রমেও জড়িত ছিলেন।
আসমা আব্বাসীর ইন্তেকালে কালচারাল একাডেমির শোক
শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক আসমা আব্বাসীর ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির (বিসিএ)-এর সভাপতি সাহিত্য-সংস্কৃতি সংগঠক জনাব আবেদুর রহমান ও সেক্রেটারি জনাব ইবরাহীম বাহারী। তারা শুক্রবার (৫ জুলাই) বাংলা সাহিত্য,সংস্কৃতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে আসমা আব্বাসীর অবদান উল্লেখ্য করে কালচারাল একাডেমির পক্ষ থেকে এক শোক বিবৃতিতে তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের ধৈর্যধারণের তৌফিক কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন । (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। আসমা আব্বাসী বরেণ্য শিল্পী মুস্তফা জামান আব্বাসীর সহধর্মিনী। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি আগ্রহ ছিল আসমা আব্বাসীর। মামা সৈয়দ মুজতবা আলীর উৎসাহে জড়িয়ে পড়েন সাহিত্য চর্চায়। পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকে বেছে নিলেও আসমা আব্বাসী পরিচিত হয়ে ওঠেন লেখক হিসেবে। রেডিও-টিভির আলোচক ও উপস্থাপক হিসেবেও পান ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক আসমা আব্বাসী শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্বর্ণপদক পেয়েছেন। সম্পৃক্ত ছিলেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সংগঠক হিসেবে বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। আসমা আব্বাসী স্বামী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।