ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজায় কিংবা পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর ওপর বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে। পণবন্দী-যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে যাতে ইসরাইল আরো বেশি আগ্রহী হয়, সেটা ত্বরান্বিত করতেই এই হামলা চালাতে পারে বলে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আশঙ্কা করছে। হিব্রু মিডিয়ায় প্রকাশিত সূত্রবিহীন ওই খবরে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনীর ওপর হামলাটি হতে পারে গাজার ভেতরে, গাজার সীমান্তে কিংবা পশ্চিত তীরে। প্রতিবেদনটিতে বিস্তারিত বিবরণও দেয়া হয়নি। এদিকে হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ছাড় দেয়ার প্রেক্ষাপটে মিসরীয় মধ্যস্ততাকারীরা যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের নেতৃত্বাধীন আলোচনায় তাদের সম্পৃক্ততা বাড়াবে বলে ইসরাইলে চ্যানেল ১২-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য সংশোধিত প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। নতুন প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে অটল থেকেও বেশ নমনীয়তা প্রদর্শন করেছে ইসরাইল। ইসরাইলের দেয়া এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উত্থাপিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতি হামাস ইতিবাচক বলে অভিমত প্রকাশ করলেও দাবি জানায় যে শুরুতেই ইসরাইলকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরাইল আর যুদ্ধ শুরু করবে না। এ ব্যাপারে তারা অটল ছিল।
তবে ওই অবস্থান থেকে তারা এখন সরে এসেছে। তারা এখন ছয় সপ্তাহের প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির পর দ্বিতীয় ধাপে আলোচনার সময় ইসরাইল আবার যুদ্ধ করবে না- এমন একটি নিশ্চয়তা দাবি করছে। কেন এই ছাড় দিয়েছে হামাস? হামাসের প্রতিনিধি এপিকে বলেন, তারা মধ্যস্ততাকারীদের কাছ থেকে ‘মৌখিক প্রতিশ্রুতি ও নিশ্চয়তা’ পেয়েছে যে যুদ্ধ আর শুরু হবে না এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত আলোচনা চলতেই থাকবে।
হামাসের ওই প্রতিনিধি এপিকে বলেন, ‘আমরা এখন কাগজপত্রে এসব নিশ্চয়তা চাই।’ সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল ও অন্যান্য