কোটা বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভ আর শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ ৭ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় পবিপ্রবি’র প্রধান ফটকে এবং বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত পাগলায় পায়রা সেতুর টোলপ্লাজায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এসময় বাউফল-দুমকি-বরিশাল ও কুয়াকাটা-ঢাকাসহ সকল রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। টানা দু’ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধে উভয় দিকের কয়েক শ’ আভ্যন্তরীণ রুট ও দূর-পাল্লার পরিবহন বাস আটকে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রুগী পরিবহনের এ্যাম্বুলেন্স ও সেনাক্যাম্পের স্কুলবাস ব্যতিরেকে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ দেয়ায় বিভিন্ন রুটের শত শত যাত্রীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হয়। অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে প্রায় অর্ধ কি.মি পায়ে হেটে গিয়ে রিস্কা, মোটরসাইকেল ও অটোবাইকসহ বিকল্প বাহনে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এতে অতিরিক্ত অর্থব্যয়সহ চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। অপরদিকে সার্বজনীন পেনশন নীতিমালা বাতিলসহ ৭ দফা দাবিতে পবিপ্রবি’র শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারি পরিষদের ব্যানারে লাগাতার কর্মবিরতির দশম দিনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারি পরিষদ ও একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. জেহাদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো: আসাদুজ্জামান মিয়া, কর্মকর্তা পরিষদ সভাপতি কৃষিবিদ মো: সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মো: ওয়াজকুরুনী, কর্মচারি পরিষদ সভাপতি মো: মজিবুর রহমান মৃধা ও সদস্য সচিব মো: সেলিম রেজা বক্তৃতা করেন। অপর দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্র বিক্ষোভে বক্তৃতা করেন, পবিপ্রবি’র চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো: সজিব, সোহেল রানা, তৃতীয় বর্ষের নুরনবী, অনুপম সানা প্রমূখ। বক্তারা অবিলম্বে কোটা বৈষম্য দূরীকরণসহ তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন। শিক্ষক -কর্মকর্তা, কর্মচারি ও শিক্ষার্থীদের এমন যুগপৎ প্রতিবাদ বিক্ষোভ আন্দোলনে পবিপ্রবির সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে।