কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আদালতের বরাত দিয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেছেন, আন্দোলনকারীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য, শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার কোটা বহাল থাকবে না এখন, ২০১৮ সাল থেকে যে অবস্থায় ছিল এখন সেই অবস্থা বজায় থাকবে। পরিপত্রে যা ছিল তাই থাকবে।
এর আগে গতকাল বুধবার সকালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বে এ আদেশ দেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ৭ই আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মঞ্জুরুল হক বলেন, ১০৪ ধারা অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি বলেন, উনারা এটা সংশোধন করে একটা সংস্কারমূলক সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন। যেহেতু বিষয়টি এখন আদালতে আসছে, আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। যারা আন্দোলন করছেন এবং যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রয়েছেন, সবার স্বার্থের এর স্থিতাবস্থা দেয়া হয়েছে। যে ফয়সালা আপিল বিভাগ দেবে তা সবাইকে মেনে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট ডিভিশনের যেকোনো রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ডিভিশনে যাওয়ার অধিকার সবারই রয়েছে। যারা এই মামলার পক্ষে রায় পেয়েছেন তাদেরকেও চূড়ান্ত ফয়সালা আপিলের ডিসিশন থেকেই নিতে হবে। আপিলের ডিসিশনের আরো একটি ক্ষমতা আছে, সেটি হচ্ছে- আপিল বিভাগ হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় বাতিল করতে পারবেন অথবা চূড়ান্ত বহাল রাখতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করেন জনপ্রশাসন সচিব। এতে নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয়। এতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়।