মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের নতুন বাজারের চাল, আলু ও ডিম বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এর আগে এ ভবণটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা। শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মো. মহসিন মিয়া মধুর সার্বিক সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এবং শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পৌর কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনটি থেকে ব্যবসায়ীদের সরিয়ে নিয়ে এক্সেভেটর দিয়ে ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর কাজী আব্দুল করিম, মীর এম এ সালাম, আব্দুল জব্বার আজাদ, আলকাছ মিয়া, চয়ন রায়, হানিফ চৌধুরী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেদোয়ান এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী ফয়ছল আহমেদ ও ঠিকাদার মো. কুতুব উদ্দিন। জানা যায়, নতুন বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনের নিচে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পাইকারি ও খুচরা চাল, আলু, ডিম, চিড়া, মুড়ি, খই বিক্রি করতেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ঝুকিপূর্ণ এই ভবনের ছাদ, কলাম, বীমসহ বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অনেক ফাঁটল দেখা দিয়েছিলো। ছাদের বেশিরভাগ অংশের আস্তরণ খুলে বেড়িয়ে এসেছিলো রড। অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা সত্বেও ব্যবসা করার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ভবনের ছাদের অনেক জায়গা ভেঙে গিয়েছিলো, পলেস্টার ফেটে ফেটে পড়ছিলো। আমরা ব্যবসায়ীদের অনেক অনুরোধ করেছিলাম তারা এখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য। যেহেতু ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ, যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। তিনি বলেন আমরা বলেছি তাদের অন্যত্র সুযোগ দেয়া হবে ব্যবসা করার জন্য। এ?খানের ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা কয়েক দফা বৈঠকও করেছি। নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম আরো বলেন এটি ঝুঁকিপুর্ণ থাকায় আমরা প্রথমে জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করি। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ২৪ মার্চ এই বাজারের ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা মানুষের জানমাল রক্ষার্থে পৌরসভার পক্ষ থেকে এই ভবনটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করি।