বাংলাদেশের ওপর বিদেশী হস্তক্ষেপে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিবৃতি রাষ্ট্রদোহিতার সামিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর বিদেশী হস্তক্ষেপে তার বিবৃতি রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। দেশের বিভিন্ন আদালতে যখন ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মামলা চলছে তখন চলমান বিচার থেকে বাঁচার জন্য তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস অতি সম্প্রতি একটা বিবৃতিতে বাংলাদেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। তার এ ধরনের বিবৃতি বা মন্তব্য বাংলাদেশের সংবিধান, আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক আইনেরও চরম লঙ্ঘন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউনুস বাংলাদেশের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। তার এ ধরনের কথা রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সাংবিধানিকভাবে বৈধ সরকার। সরকারের পরিবর্তন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হওয়া সম্ভব। বিএনপি-জামায়াত সারা দেশ থেকে তাদের সন্ত্রাসীদের ঢাকায় এনে ধ্বংসলীলা ও সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে। এই যে হত্যাযজ্ঞ, তদন্ত হচ্ছে, এতে সত্য বেরিয়ে আসবে। আন্দোলন দেখতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু, গুলি করা হয়েছে মাথায়। তদন্ত চলছে, আমরা তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করতে পারি না। তবে এর রহস্য উন্মোচন করা দরকার।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে- আন্দোলনকারীদের মিছিলে জঙ্গিগোষ্ঠী অনুপ্রবেশ করে খুব কাছ থেকে গুলি করে। সেখানে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারটাও ভাবতে হবে। দেখামাত্র গুলির নির্দেশ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া হয়নি। সেনাবাহিনী একটি গুলিও ছোড়েনি।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত হবে এবং হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের আহ্বান-নিরপরাধ কাউকে কোনোপ্রকার হয়রানি যেন না করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস