সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল, ভারতে থাকতে পারবেন না হাসিনা!

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার সব সদস্য এবং জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকার। এর ফলে নয়াদিল্লি-ঢাকা সমঝোতা অনুযায়ী হাসিনা এবং দেশত্যাগী অন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জনবিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বোন রেহানাকে সাথে নিয়ে বিমানে ঢাকা থেকে উত্তরপ্রদেশের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে গেছেনন হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতে রয়েছেন। ঠিক কোন ‘ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসে’ তিনি ভারতে রয়েছেন, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি সরকার কিছু জানায়নি।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছিল। ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতা অনুযায়ী কূটনৈতিক (ডিপ্লোম্যাটিক) বা সরকারি (অফিশিয়াল) পাসপোর্ট থাকলে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক অন্তত ৪৫ দিন কোনো ভিসা ছাড়াই ভারতে অবস্থান করতে পারেন। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় তার ভারতে অবস্থান অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
হাসিনার বোন রেহানার ক্ষেত্রে অবশ্য কোনো কূটনৈতিক জটিলতা নেই। কারণ, তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। এর ফলে তিনি সাধারণ ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ (ভারতের মাটিতে পা রাখার পর ব্রিটিশ নাগরিকদের যে ভিসা মঞ্জুর করা হয়) অনুযায়ী কার্যত যত দিন খুশি, ভারতে থাকতে পারেন।
উল্লেখ্য, একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে বিচারের জন্য বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ইতিমধ্যেই ভারতকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছে আর এক সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন- এই দুই মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত, তাকে এখন দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।’
এই পরিস্থিতিতে অন্তর্র্বতী সরকারের এই পদক্ষেপ হাসিনাকে ‘প্রত্যর্পণের উদ্যোগ’ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও ভারত-বাংলাদেশের ‘সংশোধিত ট্র্যাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ অনুযায়ী হাসিনা ভারতে থাকতে পারবেন বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন। হাসিনার জমানাতেই ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় দুই দেশের সরকারের মধ্যে এই সমঝোতা সই হয়েছিল। সেখানে কূটনৈতিক পাসপোর্ট নিয়ে দেশত্যাগীদের ক্ষেত্রে দেড় মাসের বিনা ভিসায় অবস্থানের সুযোগ পুনর্বিবেচনার প্রসঙ্গ রয়েছে বলে ওই অংশের দাবি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com