পঞ্চগড়ে লীজ নেওয়া জমিতে রোপন কৃত শতাধিক ইউক্যালিপ্টার গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে গেছে লীজ দেযা জমির মালিকসহ তাদের ভারা করা লোকজন। গত ১৩ আগস্ট বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমর খানা ইউনিয়নের মেহেনাভিটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে বাবুল, আইবুল সহ ৫ জনকে আসামী করে পঞ্চগড় আদালতে মামলা দাযের করেছে ১৪ বছরের জমি লীজ নেয়া আব্দুল খালেক। অভিযুক্ত আসামীরা হলো পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের মেহেনাভিটা গ্রামের মো: বাবুল ইসলাম(৩৬) মো: আইবুল হক। উভয়ের পিতা মৃত আব্দুল লতিফ,মো: জেসমিন আক্তার(২৫) স্বামী মো: বাবুল ইসলাম,মোছা: শান্তনা আক্তার(৩৫), স্বামী মো: আইবুল হক ও মোছা: রহিমা বেগম(৫৮), স্বামী মৃত : আব্দুল লতিফ। বাদী আব্দুল খালেক কান্নারত কন্ঠে জানান, দুই লক্ষ ৯০ হাজার টাকায় ১৪ বছর মেয়াদে চা বাগান করার জন্য গত ৬ /৪/২০২২ সালে ১৩৯৯/২০২২ নং এফিডেভিট মুলে জমি লীজ গ্রহণ করা হয়। পঞ্চগড় সদর, মৌজা -ভিতরগড়, জে এল নং -০৯,এস এ ৯৩, খারিজ ৩০৩, খতিয়াত ভুক্ত এসএ ২৪৫৪ দাগে ১.৯৯ একর জমির মধ্যে ১.১০ একর তৎমধ্যে. ৮২৫০ একর জমিতে রোপিত চা গাছ ও ইউক্যালিপ্টাস রোপন করা হয়। নি¤œ তফশীল বণিত দাগের জমিতে দুই লক্ষ ১৬ হাজার টাকা ব্যায় মাটি ভরাট সহ সার কিটনাশনক প্রয়োগ করে ১০ হাজার চা চারাগাছ যার মুল্য দুই লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা হয়। এবং এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা শ্রমিক মুজরী দিয়ে চা চারাগাছ গুলি তফশীল বর্ণিত জমিতে রোপন করা হয়। রোপিত চা বাগানের ছায়া স্বরুপ এক হাজার ২শ ইউক্যালিপ্টাস চারাগাছ ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে চা বাগানে রোপন করা হয়। মামলা সুত্রে জানা যায়, রোপিত চা বাগান ও ইউক্যালিপ্টাস গাছগুলি মুল্যবান সম্পদে পরিণত হইতে থাকলে আসামি ৫ জন হিংসার বশবর্তী হয়ে বাদীর রোপিত চা বাগান কি ভাবে নস্ট করা যায় বা বাদীকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা যায় তৎষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে বাবুল ও আইবুল। জলাবদ্ধতা করার উদ্যেশে তফশীল বর্ণিত জমির চার পাশে আইল বাঁধে রাখে। একপযার্যে জমি হইতে বর্ষার পানি বের হতে না পারায় রোপিত চা গাছগুলির গোড়ায় পানি জমাট বাঁধায় চা গাছগুলি মরে যায়। এতে প্রতি রাউন্ডে ৪ হাজার কেজি চা পাতা যার মুল্য ৮০ হাজার টাকা হিসেবে বাৎসরিক ক্ষতির পরিমাণ ৬৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন হয়। বাদী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ও রোপিত ইউক্যালিপ্টাস গাছগুলি সার কিটনাশক প্রয়োগ করলে গাছগুলির মধ্যে কিছু গাছ বিক্রয় উপযুক্ত হয়ে আসলে সকল আসামীগণ অন্যায় লোভ ও লাভের আশায় লিপ্ত হয়ে বিক্রয় উপযুক্ত ইউক্যালিপ্টাস গাছ গুলি কেটে নেযার সুযোগ খুজতে থাকে। গত ১৩ আগস্ট সকালে বাবুল, আইবুলসহ তার দলবল দাঁ,কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমিতে প্রবেশ করে ইউক্যালিপ্টাস গাছগুলি কেটে মাটিতে ফেলে দিতে থাকে। এবং বাবুল ও আইবুলের লোকজন গাছ গুলি ভ্যান যোগে নিয়ে যায়। দুপুর গাছকাটার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। বাবুল ও আইবুলকে গাছ কাটা ও গাছ নিয়ে যাওযার বিষয় জানতে চাইলে বাবুলের হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে প্রকাশ্যে বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। তার ভাই আইবুল হুমকি দিযে বলে যে, ইতি পুর্বে মাদক সেবনের অপরাধে ৩ বার জেল খেটেছি। তোকে খুন করে আরো জেল খাটবো। এদিকে আসামীগণের সোরগোল ও চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটি আসলে আসামীগণ বাদীর লীজ কৃত দখলীয় জমি হইতে প্রায় শতাধিক ইউক্যালিপ্টাস গাছ নিয়ে যায। যার মুল্য ২০ হাজার টাকা। বাদী আসামীগণের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্ততি নিলে স্থানীয় গণ্যমান্যরা বিষয়টি মিমাংসা করে দিবে বলে আশ্বাস দিলে আসামীগণের অসহযোগিতার কারণে আপোষ মিমাংসা করতে বাধ্য হলে স্থায়ীয় গণ্যমান্যরা বাদীকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন। মামলার বাদী আব্দুল খালেক জানান, ১৪ বছরের জন্য লীজ কৃত জমিতে রোপিত সম্পদ চা বাগানে পানি নিস্কাশনের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে জলাবদ্ধতা করে চা গাছ পানিতে ডুবাইযা প্রায় ৬৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধনসহ শতাধিক ইউলিক্যাপ্টাস গাছ যার মুল্য ২০ হাজার টাকা ও আমাকে হত্যার ভয়ভীতি প্রদশন করায় ৫ জনকে আসামী করে পঞ্চগড় বিজ্ঞ আমলী আদালত-১ এ মামলা দায়ের করি।আদালতে মামলা করায় আসামী বাবুল ও আইবুল আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ৬৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন ও তাদের শাস্তির দাবী জানান।