জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে রাজধানীতে আয়োজিত শহীদি মার্চ থেকে ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যালি শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৫ দফা দাবি পেশ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।
দাবির মধ্যে আছে- ১.গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে ২.শহীদ পরিবারদের আর্থিক ও আইনি সহযোগিতা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করতে হবে। ৩.প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ৪.গণভবনকে কে জুলাই স্মৃতি যাদুঘর ঘোষণা করতে হবে ৫.রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে ‘শহীদি মার্চ’ পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে এই মার্চ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। শহীদি মার্চটি নীলক্ষেত, নিউ মার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড ধরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে দুপুর ২টার পর থেকেই রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এসময় তারা “দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিব রক্ত,” “রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়”, “শহীদের স্মরণে, ভয় করিনা মরণে”, “আমাদের শহীদেরা, আমাদের শক্তি”, “আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ”, “লাল সবুজের পতাকায়, শহীদদের দেখা যায়”, “জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে”, “লেগেছে তে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে”, “হই হই রই রই, ছাত্রলীগ গেলি কই”, “আমার ভাইয়ের খুনি ধর, খুনি হাসিনার বিচার কর”, “উই ওয়ান্ট, জাস্টিস” সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।