বৈরী আবহাওয়ায় দুদিন ধরে টানা ভাড়ি বৃষ্টিপাতে বরিশালে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। রাস্তাঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকেছে বলে জানা গেছে। তবে নদনদীর পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম না করায় বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনের কথা জানিয়েছেন প্রকৌশল বিভাগ। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বরিশাল নগরের বাসিন্দা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মানিক জানিয়েছেন, তিনি নগরের বটতলা এলাকায় ভ্যানে পণ্য বিক্রি করেন। তবে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে গতকাল থেকে বটতলা এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। একই কথা জানিয়েছেন রিকশাচালক আল আমিন। তিনি বলেন, মুষলধারে বৃষ্টির পানিতে নগরের বটতলা, বগুরা রোড, সদর রোডসহ বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। সম্ভবত ড্রেনগুলো দিয়ে পানি নামছে না। বৃষ্টি চলতে থাকলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, সময়মতো নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখতে হয়, এ জন্য নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে পরিকল্পিত উন্নয়নের পাশাপাশি শহরের ভেতরকার খাল নিয়মিত খনন করাও প্রয়োজন। কিন্তু বরিশালে যেমন মানুষ খালের জমি দখল করেছে, তেমনি খাল ভরাট করে রাস্তা-ড্রেনও বানানো হয়েছে। এর ফলে জলাবদ্ধতা এখন নিয়মিত একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বরিশালবাসীর জন্য। তবে বৃষ্টি হলে ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি পাবে এমন শঙ্কায় রয়েছেন নগরবাসী। আর আবহাওয়া অফিস বলছে আরও দুই একদিন এভাবে বৃষ্টি সম্ভাবনার কথা। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আবদুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে ১৭৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে আরও দুই একদিন বৃষ্টিপাত হবে। আর কখনও ভাড়ি আবার কখনো হালকা আকারে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে গত কয়েকদিনের থেকে দিনের তাপমাত্রা শনিবারের মতো রোববারও কিছুটা কম হয়েছে। রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বোচ্চ ২৭ ডিগ্রি এবং সর্বোনিম্ন ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে বরিশাল পানি উন্নয়নন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করলেও কোন নদনদীর পানি এখনও বিপদৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে নদনদীতে স্বাভাবিক সময়ের থেকে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।